• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়ার ৩১ বন্ধু ও নিরপেক্ষ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ১২:৫৯ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২৩ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৬ বার


অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের ব্যাংক ও ব্রোকারেজকে রাশিয়ার মুদ্রা বাজারে লেনদেনের অনুমোদন দিয়েছে দেশটির সরকার। এসব দেশকে ‘বন্ধুপ্রতীম ও নিরপেক্ষ’ বলে উল্লেখ করেছে রাশিয়া।রাশিয়া বলছে, এই দেশগুলো ডেরিভেটিভস বাজারেও লেনদেন করতে পারবে।শনিবার ঢাকাস্থ রুশ দূতাবাস তাদের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দেশটির সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে একটি পোস্ট দেয়।

বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশগুলো হল- আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনেজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।যেসব দেশ রাশিয়ার ‘বন্ধু ও নিরপেক্ষ’ দেশের তালিকায় স্থান পেয়েছে, সেগুলোর মধ্যে অনেকগুলো মধ্য এশিয়ার দেশ, যারা একসময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিলো। এ ছাড়া অনেক দেশ দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার মিত্র হিসেবে পরিচিত।

ডেরিভেটিভ এক ধরনের আর্থিক চুক্তি যা দুই বা ততোধিক পক্ষের মধ্যে হয়। ডেরিভেটিভ ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট বাজারে অংশ নিয়ে বিভিন্ন সম্পদ লেনদেন করে থাকে। ডেরিভেটিভ হিসেবে প্রচলিত সম্পদের মধ্যে রয়েছে মুদ্রা, স্টক, বন্ড, পণ্য, সুদের হার ও বাজার সূচক।ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের পর থেকে রাশিয়া বিভিন্ন ধরনের পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রয়েছে। ডলারের মাধ্যমে লেনদেন করার সব ধরনের উপায় বন্ধ দেশটির। এতে আর্থিকভাবে চাপে পড়েছে দেশটি।

তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভারত ও চীনসহ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চালালেও মুদ্রা লেনদেনে জটিলতার মধ্যে রয়েছে। অন্যদিকে কয়েক বছর থেকে রুবল দিয়ে লেনদেনকে প্রাধান্য দিচ্ছে মস্কো, যা যুদ্ধের পর একমাত্র মাধ্যমে পরিণত হয়েছে।যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রাশিয়ার উৎপাদিত তেল ও গ্যাস কিনতে রুবলে মূল্য পরিশোধের নিয়ম চালু করেন। এরপর থেকে রুবলে লেনদেন বাড়ছেও।

দিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসেন রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। এটি রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর। সে সময় রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং বন্ধু দেশের চাপের পরেও বাংলাদেশ তার নিজের স্বার্থ রক্ষা করে চলবে বলেই রাশিয়া বিশ্বাস করে। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন ইস্যুতে হস্তক্ষেপ প্রত্যাশিত নয়। অব্যাহত চাপের পরেও ঢাকা তার পররাষ্ট্রনীতি সমন্বিত রেখেছে যা প্রশংসা যোগ্য।