• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

যশোরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের নেপথ্যে


প্রকাশিত: ২:৪৯ পিএম, ২ জুলাই ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৩ বার

যশোর প্রতিনিধি : যশোরে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় এখনো কোন ক্লু মিলেনি।রবিবার রাতে যশোর বিমানবাহিনীর Biman-www.jatirkhantha.com.bd.2কে-এইট ডব্লিও মডেলের প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুইজন পাইলট নিহত হয়েছেন। রবিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে যশোরের মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি থেকে প্রশিক্ষণ বিমানটি উড্ডয়ন করে। এর কিছুক্ষণ পর সেটি যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের মধ্যে আছড়ে পড়ে। বিশাল বাওড়ের দেয়ারা ইউনিয়নের আরিচপুর গ্রামের অংশে বাওড়ের মধ্যখানে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করা হয়।

আকাশে বিধ্বস্ত হওয়ায় বিমানটি টুকরো টুকরো হয়ে গেছে। বিমানটির হতভাগ্য দুইজন পাইলটের দেহাবশেষ রাতেই কিছুটা উদ্ধার করা হয়। সোমবার সকালে বিমানবাহিনী ও সেনা সদস্যরা নৌকা করে পাইলটদের দেহাবশেষ উদ্ধার করছেন বলে ওই এলাকা থেকে জানা গেছে।
Biman-www.jatirkhantha.com.bd
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, রবিবার রাতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কে-৮ ডব্লিও নামের একটি বিমান যশোর সদর উপজেলার বুকভরা বাওড়ের মধ্যে বিধ্বস্ত হয়। বিমানটি চালাচ্ছিলেন স্কোয়াড্রন লিডার মো. সিরাজুল ইসলাম এবং স্কোয়াড্রন লিডার এনায়েত কবির পলাশ

। তারা দুইজনই নিহত হন বলে নিশ্চিত করে আইএসপিআর। বিমানটি যশোরের মতিউর রহমান বিমান ঘাঁটি থেকে রাত্রিকালীন প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে উড্ডয়ন করে বলে জানায় তারা। এখনো উদ্ধারকার্য চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। সেইসাথে আরো জানায়, এ ঘটনায় একটি উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে, খুলনা থেকে রাতেই ডুবুরিদের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া এবং আলোর স্বল্পতার কারণে তারা সুবিধা করতে পারেনি। সকালে পুনরায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরুর কথা রয়েছে। তবে প্রচণ্ড কর্দমাক্ত এলাকা পেরিয়ে ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বলে সূত্র জানিয়েছে।

চান্দুটিয়া বাজারের ব্যবসায়ী শ্যামল কুমার সিংহ  জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি বাজারে ছিলেন। এ সময় প্রচণ্ড একটি শব্দ শুনে তারা অনেকেই আরিচপুর বাজার সংলগ্ন বুকভরা বাওড়ে ছুটে যান। দূর থেকে তারা দেখতে পান একটি বিমানের কিছু অংশ বাওড় পাড় থেকে ২-৩শ’ মিটার দূরে পানিতে ভাসছে। তাদের অনেকেই নৌকায় করে বিমানটির কাছে গেছেন। কিন্তু কোনো মানুষের সন্ধান তারা পাননি। তবে গোটা এলাকা পেট্রোলজাতীয় জ্বালানির গন্ধে ভরে উঠেছে। প্রচণ্ড বৃষ্টি আর অন্ধকারের কারণে কোনোকিছু ঠিকভাবে দেখাও যাচ্ছে না।