• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

বেসিক ব্যাংক লুটেরা বাচ্চুর আজাব শুরু


প্রকাশিত: ৮:৫৪ পিএম, ১৫ নভেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২ বার


০০ সম্পদ ক্রোক
০০ স্বপরিবারে লুটপাট
০০ সোয়া ২ হাজার কোটি

 

কোর্ট রিপোর্টার : বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান সোয়া ২ হাজার কোটি টাকা স্বপরিবারে লুটপাটকারী সেই চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু’র আজাব অবশেষে শুরু হয়েছে। বাচ্চু ও তার পরিবারের সম্পদ ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৫ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। বাচ্চুর পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন- তার স্ত্রী শিরিন আকতার, ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক, মেয়ে শেখ রাফা হাই ও বাচ্চুর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না। ক্রোক হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে বাচ্চুর নামে রাজধানীর বসুন্ধরায় ২২৮ শতক জমি, যার বর্তমান মূল্য ১২ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিওএইসএসের একটি ফ্ল্যাট, যার বাজারমূল্য ৬৪ লাখ টাকা। এছাড়া তার পরিবারের নামে ক্যান্টমেন্ট বাজার এলাকায় ৩০ কাঠা জমি, যার বাজারমূল্য ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

এর আগে গত ৩ অক্টোবর ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে দুদকের উপপরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এতে বাচ্চুর স্ত্রী-সন্তানসহ আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়। পরে ১১ অক্টোবর স্ত্রী-সন্তানসহ হাইকোর্টে জামিন চান বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু।দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক মামলার বিষয়ে বলেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
বাচ্চু ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বাচ্চুর স্ত্রী শিরিন আক্তার, ছেলে শেখ রাফা হাই, শেখ ছাবিদ হাই অনিক। এ ছাড়া আবদুল হাই বাচ্চুর ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও আমিন আহমেদ নামের একজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার ৩০.২৫ কাঠা জমি ১১০ কোটি টাকায় কেনা হলেও আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে এর দাম দুটি দলিলে মাত্র ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্য দেখান। অবশিষ্ট ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী, ভাই ও সন্তানদের নামে হস্তান্তর স্থানান্তর রূপান্তরের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।

এতে আরও বলা হয়, আসামি আমিন আহমেদ শেখ আবদুল হাই বাচ্চুর অবৈধ অর্থ বৈধতা প্রদানে সরাসরি সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া এর মাধ্যমে আসামি শেখ আবদুল হাই বাচ্চু সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ও ফাঁকি দিয়েছেন। এর আগে গত ১২ জুন বাচ্চুর বিরুদ্ধে বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় চার্জশিট দেয়। দুদকের দায়ের করা ৫৯টি মামলার মধ্যে ৫৮টিতেই আসামি করা হয় ব্যাংকটির সাবেক এই চেয়ারম্যানকে।