• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

বিমানের টিকিট প্রতারণা


প্রকাশিত: ৯:৩৫ পিএম, ১৪ মে ১৮ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৩২ বার

বিশেষ প্রতিনিধি :  যাত্রীর সঙ্গে প্রতারণা ও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সেবা না দেয়া এবং নিরাপত্তা বিপন্নকারী পরিস্থিতি সৃষ্টির bbঅভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। আজ সোমবার অধিদফতরে জরিমানার আড়াই লাখ টাকার একটি চেক হস্তান্তর করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ। অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, দেবব্রত সরকার নামে এক বিমানযাত্রী গত বছরের ২০ আগস্ট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতিঝিল অফিস থেকে ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ৭টি রিটার্ন টিকিট কেনেন। এর মধ্যে একটি টিকিট ছিল শিশুর।

১১ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৯৬ ফ্লাইটটির ধারণ ক্ষমতা ছিল ৭৪ জনের। কিন্তু সেখানে ৭৬ জনকে বুকিং দিয়েছিল বিমান। ফলে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসার সময় ৭ জনকে টিকিট দিতে পারেনি বিমান। ওই যাত্রীদের পাঁচজনকে টিকিট দেন কর্মকর্তারা। এসময় তারা শিশুটিকে কোলে নিয়ে আসতে বলেন। বাকি একজনকে পরের দিন আসতে বলে। এছাড়া শিশুটির টিকিট মূল্য ফেরতও দেয়া হয়নি। আর যে যাত্রী আসতে পারেননি তাকে নিজ খরচে বিমানবন্দরে থাকতে হয়েছে।

অভিযোগকারী তার অভিযোগে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অবহেলার কারণে তিনি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সেবা পাননি এবং তার সন্তানের নিরাপত্তা বিপন্নকারী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।বিমান কর্তৃপক্ষ বলেছে, যাত্রীরা বিমানবন্দরে দেরিতে উপস্থিত হয়েছেন। তাই কলকাতা থেকে ঢাকা আসার সময় ওই যাত্রীদের পাঁচজনকে টিকিট দেয়া হয়েছে।

তবে অধিদফতর বলছে, দেরিতে এলে কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নেবে এ বিষয়ে বিমানের সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা নেই। যাত্রী দেরিতে এলে তার কেনা টিকিট অন্যযাত্রীর কাছে বিক্রি করবে বিমানের এমন বিষয়টি স্পষ্ট নয়। এছাড়া সিট ছাড়া শিশুর ভ্রমণের অনুমতি দিয়ে তার নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করেছে।

অধিদফতরে উভয় পক্ষের শুনানি শেষে, বিমানের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫২ ধারা অনুযায়ী মোট ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযোগ নিষ্পত্তি করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার।অভিযোগকারী এ জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা পাবেন বলে জানিয়েছে অধিদফতর।