• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

বিউটি পার্লারে পর্ণোগ্রাফি ধানমন্ডি উইমেন্স ওয়ার্ল্ডে


প্রকাশিত: ১০:১৫ পিএম, ১৩ জানুয়ারী ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৮ বার

এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ।

কোর্ট রিপোর্টার : রাজধানীর ধানমন্ডির উইমেন্স ওয়ার্ল্ড নামের একটি বিউটি পার্লারের বিভিন্ন কক্ষে গোপনে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ফারনাস আলম কে। তবে গ্রেফতারের পর তার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহমেদ তার জামিন মঞ্জুর করেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় এক নারী ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে ধানমন্ডি থানা পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ড বিউটি পার্লারে অভিযান চালায়। এরপর সেখান থেকে ৮টি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে পুলিশ। এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানার উপ-পরিদর্শক মো. একরামুল হক বাদী হয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের দুই মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করে।

মামলায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ এর ৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।গত ২৭ ডিসেম্বর এই মামলায় তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। তারা হলেন-এমদাদুল হাসান (৫৩), তসলিম আরিফ ইলিয়াস (৫২) ও এইচ এম জুয়েল খন্দকার (৩৩)।

পুলিশ বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একজন নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের শাখা থেকে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর জব্দ করে। পরে ওই ভুক্তভোগী মামলা না করলে পুলিশ মামলা করেছে।

ওসি পারভেজ ইসলাম বলেন, রাজধানীর ধানমন্ডি ২৭ নম্বরের উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের শাখায় ফেশিয়াল করতে যাওয়া এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বিভিন্ন কক্ষে আটটি সিসি ক্যামেরা ও ক্যামেরার ডিভিআর পাওয়া যায়। অভিযানে তিনজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশ উইমেন্স ওয়ার্ল্ডের মালিকসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় আটক তিনজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে কনা আলম ও ফারনাস আলম নামের দু’জন মালিক পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

কার নির্দেশে স্পার্শকতর কক্ষে ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে জানতে চাইলে ওসি ধানমন্ডি বলেন, গ্রেফতার তিন কর্মকর্তা আমাদের জানিয়েছেন মালিক পক্ষের সিদ্ধান্তেই ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এছাড়া জব্দ করা ক্যামেরার ডিভিআরে বিভিন্ন কক্ষের ফুটেজ থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে ক্যামেরার কোনো ফুটেজের অপব্যবহার হয়েছে কি না সেটি জানতে তদন্ত চলছে।
তিনি আরো বলেন, মৌখিক অভিযোগকারী নারী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ায় তিনি লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে থানা পুলিশের অভিযানে স্পার্শকাতর স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা ও সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ভঙ্গের দায়ে পুলিশ মামলা করেছে। গ্রেফতার তিনজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।