• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

নিরপরাধ শিশু সৌরভের শরীরে গুলি করে হাইকোর্টে ন্যায়বিচার চান এমপি লিটন!


প্রকাশিত: ৬:৪৭ পিএম, ১১ অক্টোবর ১৫ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৯ বার

বিশেষ প্রতিবেদক:   নিরপরাধ শিশু সৌরভের শরীরে গুলি করে হাইকোর্টে ন্যায়বিচার চান এমপি লিটন! মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন শিশু শাহাদাতকে গুলি করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেছেন গাইবান্ধার সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন।তাঁর আইনজীবী মোকmp-litonwww.jatirkhantha.com.bdছেদুল ইসলাম এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ তাঁর (সাংসদ মঞ্জুরুল) আগাম জামিন চেয়ে একটি আবেদন করেছি। চলতি সপ্তাহে এর শুনানি হতে পারে। জামিন আবেদনে বলেছি, এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম একটি পরিস্থিতির শিকার। উনি আশা করেন যে উচ্চ আদালতের কাছে ন্যায় বিচার পাবেন।’
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের বাড়ি থেকে ২ অক্টোবর সকালে হাঁটতে বেরিয়েছিল স্থানীয় বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদাত। এ সময় সাংসদ মঞ্জুরুল ইসলাম গুলি ছুড়লে শিশুটির বাঁ পায়ে একটি ও ডান পায়ে দুটি গুলি লাগে।এ ঘটনায় সাংসদকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়।

ক্ষতস্থানের ব্যথা কমছে না সৌরভের—-

গুলিতে আহত নয় বছরের শিশু শাহাদাত হোসেন (সৌরভ)  এর ক্ষতস্থানের ব্যথা কমছে না। পায়ের নিচে দেওয়া হয়েছে নরম বালিশ। পাশে বসে ছেলের মাথার হাত বোলাচ্ছেন মা সেলিনা বেগম। কিন্তু নরম বালিশে কিংবা মায়ের আদরে ক্ষতস্থানের ব্যথা কমছে না। স্বজনেরা জানান, নিজে বাথরুমে যেতে পারে না শাহাদাত। তাই মায়ের কোলই তাঁর আশ্রয়। চিকিৎসকের উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার মা-বাবাকে ধরে একটু হাঁটার চেষ্টা করানো হয়েছে। কিন্তু যন্ত্রণায় হাঁটতে পারেনি সে।

আজ দুপুরে সরেজমিনে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশুটি বিছানায় শুয়ে আছে। পরনে হাফ-হাতা গেঞ্জি ও লুঙ্গি।লোকজন দেখলে মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে সে। বলে দুই পায়ে খুব ব্যথা।শাহাদাতের মা সেলিনা বলেন, এখনো ব্যথায় ছটফট করছে। রাতে ঘুমাতে পারছে না। খেতেও পারে না। তাঁর প্রশ্ন, এভাবে আর কত দিন থাকতে হবে? সুস্থ হলেও তাঁর ছেলে আগের মতো হাঁটতে পারবে তো?

শাহাদাতের বাবা সাজু মিয়া বলেন, অনেকে খোঁজখবর নিচ্ছেন। তাতে সাহস পাচ্ছেন।শিশু সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বাবুল কুমার সাহা বলেন, গুলিতে বাঁ পায়ের হাঁটুর নিচে একদিক দিয়ে মাংসপেশিতে ভেদ হয়ে অন্য দিক দিয়ে বেরিয়ে গেছে। আর ডান পায়ের হাঁটুর নিচে দুটি স্থানে মাংস ছিলে গেছে। এসব ক্ষতস্থানে অস্ত্রোপচার হয়েছে। সেরে উঠতে কিছুটা সময় লাগবে। তবে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি করা হচ্ছে না।