• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নারী অপহরনকারী ধর্ষনকারীদের দাপটে স্কুলে যেতে পারছে না বরগুনার ছাত্রীরা


প্রকাশিত: ৩:৩৫ পিএম, ২ ডিসেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬০ বার

 

বরগুনা প্রতিনিধি,শহীদুল ইসলাম ও মিজানুর রহমান রিয়াজ :   নারী অপহরনকারী ধর্ষনকারীদের দাপটে স্কুলে যেতে পারছে না বরগুনার 0ছাত্রীরা।প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এমন ঘটনা ঘটছে।কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী ও লম্পট এসব অপকর্ম করলেও পুলিশ এদের বিরুদে্ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা।

জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী উপজেলার ৪নং মোকামিয়া ইউনিয়নের ছোট মুল্লা গ্রামের নারগিস আক্তার (১৮) নামের এক যুবতী কন্যাকে অপহরন করে গনধর্ষন করেছে দুবৃত্বরা।স্থানীয় সুএে জানা যায়, ছোট মুল্লা গ্রামের মোঃ সোমেদ খান এর যুবতী কন্যাকে একই উপজেলার দক্ষিন বড় মোকামিয়া গ্রামের জব্বার মুছুল্লীর ছেলে আঃ ছালাম, ঝিংগাবাড়িয়া গ্রামের মুনসের আলী খান এর ছেলে মালেক, করুনা মোকামিয়া গ্রামের আঃ রশিদ এর ছেলে লুৎফর, একজোট হয়ে ঘটনাস্থল বেতাগী উপজেলার মোল্লার হাট বাজারের পুর্ব পার্শ্বে রাস্তার উপর থেকে যুবতীকে খুনের ভয় দেখিয়ে জোর করে মটরসাইকেলে উঠিয়ে অপহরন করে নিয়ে যায়।

অনেক খোজাখুজির পরের দিন রাত ১২ টায় ধর্ষন কারীদের হেফাজত থেকে কিশোরীর মা, স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল মিয়া ,স্থানীয় আঃ মালেক মিয়া ,মেয়েটিকে একটি আবাসিক হোটেল থেকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে।এ ব্যাপারে যুবতী নারগিস বলে অভিযুক্তরা বিভিন্ন সময় যাওয়া-আসার পথে আমার গতিপথ লক্ষ করে ওৎ পেতে থাকত, আমাকে কু- প্রস্তাব দিত।

তাদের কোন প্রস্তাবে রাজি না হলে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। ঘটনার দিন আমি মোল্লার হাট বাজারে গেলে আমি বাজারের পুর্ব পাশে গেলে ওখানে কোন লোকজন না দেখে হঠাৎ করে আমার সামনে একটি মটরসাইকেল থামিয়ে আমাকে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার মুখ চেপে ধরে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে আমার ইজ্জাত নষ্ঠ করার চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়।

পরবর্তীতে বরগুনা শহরের পশু হাসপাতাল রোডে খান রেষ্ঠ হাউজে ৯নং কক্ষে রাত অনুমান ৯ঃ৩০ টার সময় উক্ত রুমের ভিতর আমাকে আটক করে ছালাম , মালেক , লুৎফর ,সারা রাত আমার ইচ্ছার বিরুদ্বে ধর্ষন করে। আমি এই ঘটনা যদি কাউকে বলি তাহলে আমাকে প্রান নাশ করিবে বলে হুমকী দেয় ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাদিক ব্যাক্তি বলেন দুবৃত্বরা মাদক ব্যবসায়ও জড়িত। এদের ভয়ে কোন স্কুলের ছাএীরা ঠিকমত স্কুলে যেতে পারছেনা । এরা এ ধরনের ঘটনা বিগত দিনেও ঘটিয়েছে। এই জঘন্য অপরাধে কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার কামনা করি। এ ব্যাপারে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মোকাম বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল পিটিশন নং ৭৩৮/২০১৬ মামলা দায়ের করে।