• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

কার রাজনীতির ঘুটি-গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে সন্ত্রাসী তান্ডব-


প্রকাশিত: ৭:২৫ পিএম, ১১ নভেম্বর ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৫৪ বার

 
এস এম খলিল বাবু গাইবান্ধা ঘুরে এসে: গাইবান্ধার সাঁওতাল পল্লীতে সন্ত্রাসী তান্ডব-ভয় আতংক এখনও বিরাজ করছে। 4বলা হচ্ছে এটা রাজনীতির ঘুটি। গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লীতে হামলার পর এখনও নানা আতংকে দিন কাটছে সাঁওতালবাসীর। এদিকে কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন। তারা সরকারের কাছে খাদ্য সরবরাহের দাবি জানান। সেই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের দাবি জানান তারা।চরণ মুরমু নামের এক প্রবীণ সাঁওতাল বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাদেরকে রাজনীতির ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

3হামলা,বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ,লুটপাট ও পুলিশের গুলিবর্ষণ ঘটনার বিচারের দাবি জানাতে শুক্রবার সকালে কাটাবাড়ি ইউনিয়নের আদমপুর মিশন এলাকায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত ৫ শতাধিক শিশু নারী পুরুষ সমবেত হন। কিন্তু পরবর্তীতে হামলার আশংকায় তারা সেখান থেকে সরে যান।একইভাবে সাপমারা ইউনিয়নের মাদারপুর গির্জা এলাকাতেও সমবেত হন শত শত নারী পুরুষ।

জয়পুরের নিতাই টুডু জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা খাদ্য সংকটে পড়েছেন। তারা সরকারের কাছে খাদ্য সরবরাহের দাবি জানান। সেই সঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের দাবি2 জানান তারা। চরণ মুরমু নামের এক প্রবীণ সাঁওতাল বলেন, আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। আমাদেরকে রাজনীতির ঘুটি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।

সাহেবগঞ্জ ইক্ষু খামার ভূমি উদ্ধার কমিটির সহ-সম্পাদক ডা. ফিলিমন জানান, সাঁওতাল পল্লীগুলোর মানুষ অবরুদ্ধ থাকায় তারা এখন চরম দুর্দশার মুখে পড়েছে। এছাড়া অব্যাহত হুমকি ও লাঞ্ছনার ঘটনায় তাদের মধ্যে গত ৫ দিনেও আতংকের ভাব কাটেনি।

তিনি বলেন, ভয়ে আতংকে তাদের ছেলে মেয়েরা এখনও স্কুল কলেজে যেতে পারছে না। সাহেবগঞ্জ ফার্ম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তাদের সম্প্রদায়ের ৬০ জন ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। কিন্তু তারা কেউই স্কুলে যাচ্ছে না। আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একই অবস্থা চলছে।

তিনি বলেন, ওই জমির মালিকানার দাবিতে যৌক্তিক আন্দোলন ও আইনি লড়াই তারা চালিয়ে যাওয়া হবে। আদিবাসীদের কেন্দ্রীয় নেতা রবীন্দ্র সরেন জানান, আগামী রোববার দেশের প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারকাত গোবিন্দগঞ্জের দুর্দশাগ্রস্থ সাঁওতালদের অবস্থা সরেজমিনে দেখবেন এবং তাদের খোঁজখবর নেবেন বলে তিনি জেনেছেন।

এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, রোববার কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি টিম গোবিন্দগঞ্জের সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শন করবেন।

শুক্রবার ঢাকাস্থ সোসাইটি ফর ইনভারমেন্ট অ্যান্ড হিউমেন্ট ডেভলপমেন্ট নামে একটি বেসরকারি সংস্থার পরিচালক ফিলিপ গাইন ক্ষতিগ্রস্ত সাঁওতাল পল্লী পরিদর্শন এবং হামলার শিকার নির্যাযিত সাঁওতালদের সাথে দেখা করেন এবং তাদের খোঁজখবর নেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গুলি এবং হামলায় মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়া সাঁওতালদের ব্যাপারে সরকারের কোন আন্তরিকতা ও সহানুভূতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি।

এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তিনি ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসন ও তাদের মানবিক সহায়তা দানের আবেদন জানান।