• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

করোনায় গণস্বাস্থ্যে কিট অকার্যকর


প্রকাশিত: ৯:২৬ পিএম, ১৭ জুন ২০ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪৬ বার

স্টাফ রিপোর্টার : করোনা শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্যের কিট কার্যকরী নয়। প্রথম দুই সপ্তাহে কিট ব্যবহার করে শুধু ১১-৪০ শতাংশ রোগীর রোগ শনাক্তকরণ সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাক্তার কনক কান্তি বড়ুয়া। বুধবার (১৭ জুন) দুপুরে বিএসএমএমইউ-এর মিল্টন হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা সম্পর্কে এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষায় অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বে গঠিত পারফরমেন্স কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করে।

ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বিএসএমএমইউর অধ্যাপক শাহিনা তাবাসসুমের নেতৃত্বাধীন পারফরম্যান্স কমিটি গণস্বাস্থ্যের কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেন। তাতে দেখা গেছে, এই কিটটি উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের রোগ শনাক্তকরণে কার্যকরি নয়। আমরা শুধু গবেষণা করেছি, বিস্তারিত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ। লিখিত বক্তব্যে ডা. কনক বড়ুয়া বলেন, তবে যেসব স্থানে প্রচলিত আরটি-পিসিআর (RT PCR) পদ্ধতি চালু নেই অথবা যাদের কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও আরটি-পিসিআর নেগেটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্র এই কিট কিছুটা সহায়ক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, গণস্বাস্থ্যের কিট কোভিড রোগের ব্যাপ্তি দেখার কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। যেক্ষেত্রে এই কিটের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ রোগী যাদের ইতোপূর্বে কোভিড রোগ হয়েছিল, তাদের শনাক্ত করা সম্ভব। এইক্ষেত্রে আমাদের কোভিড প্লাজমা বিতরণ, কোয়ারেন্টিন সমাপ্তির সময় নির্ধারণ এবং লকডাউন উত্তোলনের রূপরেখা তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে।গণস্বাস্থ্যের কিট অ্যান্টিবডি শনাক্ত করতে পারলেও আইজিএম(IGM, যা ইনফেকশনের শুরুতে তৈরি হয়) এবং (ইনফেকশনের বিলম্বিত পর্যায়ে তৈরি হয়) তা আলাদাভাবে পার্থক্য করতে পারে না বলেও লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য।কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, এই এক মাসে গবেষণা দল অক্লান্ত পরিশ্রম করলেও এর জন্য তারা কোনও পারিশ্রমিক গহণ করেনি। গবেষণা দলের সঙ্গে গণস্বাস্থ্যের কোনও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সম্পৃক্ততা নেই।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, ভাইরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম, মাইক্রোবায়োজি এন্ড ইসিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী।

এর আগে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট নিয়ে শুরু থেকে অনেক বিতর্কের পরে গত ৩০ এপ্রিল ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে বা আইসিডিডিআরবিতে উদ্ভাবিত কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর গত ১৩ মে কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বিএসএমএমইউতে প্রথম দফায় কিট জমা দেয় গণস্বাস্থ্য। একইসঙ্গে পরীক্ষা খরচ বাবদ ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জমা দেয় তারা। এরপরও বিভিন্ন সময় কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।