• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

এবার বাস্তবে সিনেমাস্টাইলে খুন নাটকীয়তা-


প্রকাশিত: ৭:০২ পিএম, ২২ জুলাই ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৭ বার

 

 

 

সুপারমার্কেটে পণবন্দি থাকা প্রেমিকাকে মুক্তির পর আলিঙ্গন

ডেস্ক রিপোর্টার : এবার বাস্তবে সিনেমাস্টাইলে খুন নাটকীয়তা ঘটলো লস অ্যাঞ্জেলসে। ঘাতক খুনী দিদা ও প্রেমিকাকে গুলি করে খুন করে গাড়ি নিয়েপালানোর চেষ্টা করে। অতঃপর পুলিশের তাড়ায় সুপারমার্কেটে ঢুকে কয়েকজনকে পণবন্দি করে ফেলে সে। সবশেষে খুনী’র আত্মসমর্পণ। হলিউডে ঠিক যেন সিনেমা, বন্দুকবাজকে ঘিরে তিন ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস নাটকের সাক্ষী হল মার্কিন মুলুকের লস অ্যাঞ্জেলস। ওই সুপারমার্কেটে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন লস এঞ্জেলেসের মেয়র এরিক গারসেট্টি। পরে আততায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে তাঁর নাম প্রকাশ করতে চায়নি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাউথ লস অ্যাঞ্জেলসে প্রথমে বাড়িতে ঢুকে নিজের দিদা ও প্রেমিকাকে গুলি করে খুন করেন ওই যুবক। পুলিশ তদন্তে নেমে হলিউডের কাছে অভিযুক্ত যুবকের গাড়ির সন্ধান পায়। গাড়ি থামাতে বললেও তিনি রাজি হননি। বাধ্য হয়ে পুলিশ গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে। চলন্ত গাড়ির ভিতর থেকেই গুলি চালাতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। তবে তাতে কেউ আহত হননি।

বেশ কিছুক্ষণ ধাওয়া করার পর অবশেষে একটি পোলে ধাক্কা মারে ওই সন্দেহভাজনের গাড়ি। এরপর গাড়ি থেকে নেমে সামনেই ট্রেডার্স জো’স নামে একটি সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ে ওই আততায়ী। সেই সময়ই পুলিশ গুলি চালালে সুপারমার্কেটের সামনের দিকের কাচ ভেঙে যায়। কিন্তু আততায়ী নিরাপদেই সুপারমার্কেটের পিছনের দিকে গিয়ে কয়েকজনকে পণবন্দি করে ফেলে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন আরও প্রচুর পুলিশকর্মী। গোটা সুপারমার্কেট ঘিরে ফেলে সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী। পৌঁছে যায় দমকলের অন্তত ১০টি ইঞ্জিন। কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয় গোটা এলাকায়। পুলিশ বা আততায়ীর দিক থেকে সুপারমার্কেটের ভিতরে গুলি চালানোর কোনও শব্দ শোনা যায়নি। তবে সুপারমার্কেটের ভিতরে থাকা লোকজনের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। অনেকে জানালা দিয়েও লাফ দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন। তাতে এক মহিলা গুরুতর চোট পান। ভিতরেও এক মহিলার মৃত্যু হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার আত্মসমর্পণ করতে বলা হয় অভিযুক্তকে। একইসঙ্গে চলতে থাকে অপারেশনের প্রস্তুতিও। প্রায় তিন ঘণ্টার শ্বাসরুদ্ধ পরিস্থিতির পর চার জন পণবন্দিকে নিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন ওই আততায়ী। পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। যবনিকা পড়ে কয়েক ঘণ্টার টানটান নাটকের। তবে কী কারণে ওই যুবক দিদা এবং প্রেমিকাকে খুন করল, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও বিস্তারিত কিছু জানতে পারেনি।