• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

এফডিসির সেই ‘মোল্লা’ ঝালমুড়িওয়ালা যাবে বাড়ি..


প্রকাশিত: ৮:২৩ পিএম, ২৯ জানুয়ারী ২১ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮৭ বার

আসমা খন্দকার : এফডিসির সেই ‘মোল্লা’ ঝালমুড়িওয়ালা এবার বাড়ি যাবেন তাই এত আয়োজন। এর জন্য আগামী দুই দিন শনি ও রবিবার, বিকাল ৩টা- রাত ৮টা পর্যন্ত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থায় (বিএফডিসি) মোল্লার শেষ ঝালমুড়ির আয়োজন। এ উৎসব আয়োজনে রয়েছেন মাজহার বাবু, আহম্মেদ তেপান্তর, রাহাত সাইফুল, এ.এইচ.মুরাদ, আসিফ আলম, রঞ্জু সরকার, রুহুল আমিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

তারা জাতিরকন্ঠ কে জানান, রাজ্জাক, শাবানা, আলমগীর, সালমান শাহ, মান্না থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের সকল তারকা ও এফডিসির কলাকুশলীদের অনেক দিনের চেনা ঝালমুড়ি বিক্রেতা মোল্লা। বর্তমানে তিনি অসুস্থ, হাত-পা আগের মতো সচল নেই। এক হাত অবশ। অন্য হাত দিয়েই সাড়তে হয় কাজ।জীবন সায়াহ্নে এসে বাড়ি ফিরতে চান মোল্লা। বাড়ি ফিরে জীবন ধারণের জন্য দরকার তো টাকার। কিন্তু একজন ঝালমুড়ি বিক্রেতার সেই সামর্থ্যই বা কোথায়? এজন্য তাকে সসম্মানে ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

তার জন্য আয়োজন করা হয় ‘মোল্লা যাবে বাড়ি, মোল্লা মুড়ি উৎসব’। শুক্রবার শুরু হয়ে ‘মোল্লা মুড়ি উৎসব’ চলবে রবিবার পর্যন্ত। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত তারকা ও এফডিসির কলাকুশলীরা মোল্লাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। এখান থেকে যে টাকা আসবে তা নিয়েই গ্রামে ফিরে যাবেন মোল্লা।এফডিসির সুপরিচিত এই ঝালমুড়ি বিক্রেতার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মনোহারগঞ্জ থানার মির্জাপুর গ্রামে। তিন ছেলে ও তিনি মেয়ের জনক তিনি। ছেলে-মেয়েরা তারা তাদের সংসার নিয়ে আলাদা। ছোট ছেলেটা এখনো পড়া-লেখা করছে।

মোল্লা জানান, সেই ১৯৭২ সাল থেকে আমি এখানে ঝালমুড়ি বিক্রি করি। দেশের এমন কোনো তারকা নেই যে আমার মুড়ি খাননি। পাশাপাশি এফডিসির মসজিদে ইমাম হিসেবেও কাজ করেছি। এখন বয়স হয়েছে। ঠিকমতো কাজ করতে পারি না। আগে বিক্রি করতাম ৩ কেজি মুড়ি আর এখন বিক্রি করি ১ কেজি মুড়ি। এই টাকা দিয়ে আমার ভাতের পয়সাই হয় না। তাই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেখানে গিয়ে দোকান করার চিন্তা করেছি। এজন্য তো টাকার দরকার। আমার বাড়ি যাওয়ার কথা শুনে ছেলেরা এই আয়োজন করেছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পীসহ চলচ্চিত্র কলাকুশলী আমাকে সহযোগিতা করছে।

তার কথায়, এফডিসিতেই কেটে গেছে প্রায় ৪৯ বছর। দীর্ঘদিন ধরে এখানে থাকায় অনেক মায়া জন্মেছে। এই মায়া ছেড়ে আমি যেতে চাই নি। প্রথম অবস্থায় অনেক খারাপ লাগবে। এফডিসিকে আমি আমার নিজের ঘরবাড়ি মনে করি। যখন খারাপ লাগবে তখন আবার চলে আসবো।আয়োজকরা জানান, আমরা চেষ্টা করছি সম্মানের সহিত মোল্লা ভাইকে বাড়িতে ফেরত পাঠাতে। তাই এই আয়োজন। আশা করি চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীরা শেষবারের মতো মোল্লার মুড়ি খেতে আসবেন। এবং বাড়িয়ে দেবেন সাহায্যের হাত।