• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

এনবিআরের ঘুষ ২০ লাখ-ঘুষের রামরাজত্ব ফাঁস করলেন গার্মেন্টস মালিক


প্রকাশিত: ৯:৫৯ পিএম, ১ নভেম্বর ২৩ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : ঘুষের রামরাজত্ব ফাঁস করলেন গার্মেন্টস মালিক আব্দুল্লাহ আল-জহির স্বপন। তিনি বললেন এনবিআরেই ঘুষ যায় ২০ লাখ টাকা। সব জায়গাতে গার্মেন্টস মালিকদের ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয়। ঘুষ দেয়া ছাড়া কোনো অফিসের ফাইল নড়ে না। আজকে থেকে ঘুষ নেয়া বন্ধ করে দেন, কালকেই শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেবো বলে জানিয়েছেন গার্মেন্টস মালিক আব্দুল্লাহ আল-জহির স্বপন। বুধবার দুপুরে পোশাক শিল্পে উদ্ভত শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে বিজিএমইএ এর সাধারন সদস্যগনের জরুরি আলোচনা সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয় শুধুমাত্র জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর)। এছাড়া অন্যান্য সব জায়গাতে আমাদের ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয়। ঘুষ দেয়া ছাড়া কোনো অফিসের ফাইল নড়ে না। আজকে থেকে ঘুষ নেয়া বন্ধ করে দেন, আমরা কালকেই শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়ে দেবো ।
এক্সিম ব্যাংকের উদ্যোক্তা পরিচালক ও শিল্পপতি জহির স্বপন বলেন, ‘আমাদের প্রত্যেকটা খাতে, প্রতিটি জায়গায় ঘুষ দিতে হয়। এনবিআর, কাস্টমস, পুলিশ, ভ্যাট, শ্রম মন্ত্রণালয় সবজায়গায় ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয়। খাত ভেদে ৫ থেকে ৭ শতাংশ ঘুষ দিয়ে কাজ করতে হয়। কেন? সরকারি কর্মকর্তারা, প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘুষ নিতে নিষেধ করেন তাহলেই আমরা শ্রমিকদের চাহিদা পূরণ করতে পারবো।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিজিএমইএ হলো প্যারালাল গভর্নমেন্ট। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, কাস্টমস এসব জায়গায় আমরা ঘুরে ঘুরে পায়ের চামড়া ক্ষয় করে ফেলি। নাকে ক্ষত দিতে হয় সেখানে গিয়ে। কেন? অথচ আমাদের মাধ্যমে কত মানুষ চাকরি পেয়েছে। সরকার কয়জনকে চাকরি দিয়েছে? আমাদের বিজিএমইএ অফিসে সবগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানের অফিসের সাব-অফিস স্থাপন করতে হবে। এয়ারপোর্টে আমাদের জন্য দুই-তিনটা কামড়া ছেড়ে দিয়ে অফিসের সুযোগ করতে হবে। এনবিআরে আমাদের জন্য আলাদা অফিস রাখতে হবে। আমাদেরকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেবা দেওয়ায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘শ্রমিকদের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে ১৩/১ ধারায় কার্যকর করতে হবে। আমরা এখন পর্যন্ত অনেক নমনীয় ছিলাম। এ আইন কার্যকর করতে পারি না। আমরা মাফ করে দেই। এই মাফ করে দেওয়ার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নো ওয়ার্ক, নো পে এই ফর্মুলায় যেতে হবে। এখানে আর কোনো কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। কাল থেকেই আন্দোলন বন্ধ না করলে ১৩/১ ধারায় কারখানা বন্ধ করে দিবো। নইলে আমাদের সম্পদ বাঁচানো যাবে না।’