• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

‘ইতিহাস বিকৃতি না ঘটিয়ে আপনার ভাই আরাফাত রহমানের জন্মপরিচয় পরিষ্কার করুন’


প্রকাশিত: ১১:০১ পিএম, ১২ জুন ১৪ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৯২ বার


হাছান মাহমুদ।স্টাফ রিপোর্টার: ঢাকা ১২ জুন ২০১৪:  সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারের নামে দাঁড়িয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তাঁর দুই ছেলে তারেক রহমান ও আরাফাত রহমানের উদ্দেশে অশালীন ও অসংসদীয় ভাষায় বক্তব্য দিয়েছেন সরকার দলীয় সাংসদ হাছান মাহমুদ।আজ বৃহস্পতিবার অধিবেশনের শুরুতেই অনির্ধারিত আলোচনায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এ বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, ‘তারেক জিয়া অর্বাচীনের মতো ইতিহাস বিকৃতি ঘটাচ্ছেন। পত্রপত্রিকায় এগুলো প্রচার হচ্ছে। আমি সাংবাদিকদের আহ্বান জানাই, অর্বাচীনের বক্তব্য না ছাপালে জাতি উপকৃত হবে।’তারেক রহমানের উদ্দেশে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইতিহাস বিকৃতি না ঘটিয়ে আপনার ভাই আরাফাত রহমানের জন্মপরিচয় পরিষ্কার করুন। তাঁর জন্ম নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন আছে।’

জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি অনুযায়ী সংসদ পরিচালনায় সংবিধান, কার্যপ্রণালী বিধি এবং সংসদীয় রীতিনীতির লঙ্ঘন হলে কোনো সাংসদ পয়েন্ট অব অর্ডারে (বৈধতার প্রশ্ন) দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন। এ ছাড়া সংসদে উপস্থিত হয়ে জবাব দিতে পারবে না, এমন ব্যক্তির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার বিষয়েও কার্যপ্রণালী বিধিতে নিষেধাজ্ঞা আছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ভাত ছিটালে কাকের অভাব হয় না। জিয়াউর রহমান ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট ছিটিয়েছিলেন। সেই উচ্ছিষ্ট খেতে আসা কাকের সমাহার হলো বিএনপি। খালেদা জিয়া এই দলের নেত্রী।’ তিনি আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী জড়িত ছিলেন। নাহলে জিয়া হত্যার সময় পাশের কক্ষে থেকে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর দরজায় টোকাও পড়ল না। অথচ জিয়া ঝাঁজরা হয়ে গেলেন।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া মারা যাওয়াতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। পুরস্কার হিসেবে বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে দেশের রাষ্ট্রপতি করেছেন। ক্ষমতায় থেকেও জিয়া হত্যার বিচারের উদ্যোগ নেননি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়া চোখে কালো চশমা ও সাজগোজ করে চন্দ্রিমা উদ্যানে স্বামীর কবর জিয়ারত করতে যান। এর কারণ, তিনি জানেন ওই কবরে জিয়ার লাশ নেই।’

অনির্ধারিত আলোচনায় স্বতন্ত্র সাংসদ রুস্তম আলী ফরাজী ন্যাম ভবনের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরে তা দ্রুত সমাধানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সচিবালয়ে গেলে দেখি মন্ত্রীদের ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের (পিও) কক্ষেও শীতাতপ ব্যবস্থা আছে। সেখানে গিয়ে প্রথম দর্শনে মনে হয়েছিল অতিরিক্ত সচিবের কক্ষ। পরে জানলাম তিনি মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা। অথচ সাংসদদের ঘরে শীতাতপ ব্যবস্থা তো দূরের কথা, ফ্যানও নেই।