• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

আবরারের আরো ৩ খুনী পাকরাও


প্রকাশিত: ৮:০৬ পিএম, ৮ অক্টোবর ১৯ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২৭ বার

 

ঢাবি প্রতিনিধি/ বুয়েট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলো−শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মো. মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও মো. আকাশ হোসেন (২১)। এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডিএমপি ও ডিবি দক্ষিণ বিভাগের (লালবাগ জোন) পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি ওবায়দুর রহমান জাতিরকন্ঠ কে জানান, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে শামসুল আরেফিন রাফাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র।

ডিবি দক্ষিণ বিভাগের (লালবাগ জোন) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত জাতিরকন্ঠ কে জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডেমরা থেকে মনিরুজ্জামান মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাল থেকে মো. আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মনির বুয়েটের ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ এবং আকাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।এরআগে, এই ঘটনায় সোমবার (৬ অক্টোবর) আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন এবং রাতেই ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠালে আদালত তাদের প্রত্যেকের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এনিয়ে আবরার হত্যার ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো।

এছাড়া এই হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার দায়ে ছাত্রলীগ থেকেও স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১১ নেতাকে। ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশের ময়নাতদন্ত করেন। তিনি বলেন, ছেলেটিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।নিহত আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।