• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

অপকর্মে ধরা ছাত্রলীগার


প্রকাশিত: ১:১৭ এএম, ২০ অক্টোবর ২৩ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪১ বার

 


জগন্নাথ প্রতিনিধি : জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে নাট্যকলা বিভাগের ১৪তম ব্যাচের এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। ওই ছাত্রী ছোট পর্দায় অভিনয় করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে জবি ক্যাম্পাসের শান্ত চত্বরের সামনে ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসান সৈকতের বিরুদ্ধে উঠেছে এই অভিযোগ।এ ঘটনায় ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের পরই অভিযুক্ত ছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ।জানা গেছে, মেহেদী হাসান সৈকত জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের অনুসারী।

ওই শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের হাতে এসেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ভুক্তভোগী ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে সুন্দর মুহূর্তে নিজের জন্য ভিডিও তৈরি করছিলেন। এ সময় সৈকত পেছন থেকে ওই ছাত্রীর স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘ওই ছেলে অনেক দিন ধরে আমাকে উত্ত্যক্ত করছিল। মেসেঞ্জারে বাজে বাজে অকথ্য ভাষায় মেসেজ দিত। কিন্তু আমি পাত্তা দিতাম না। আজ বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমি শান্ত চত্বরে সুন্দর মুহূর্তকে ধারণ করতে নিজের ভিডিও করছিলাম। এ সময় সৈকত আমাকে স্পর্শ করে। এরপর আমি ভয় পেয়ে আমার পাশে থাকা বন্ধু বিলাসকে জানালে তাকেও মারধর করে সৈকত।’

ছাত্রী আরও বলেন, ‘আমি মিডিয়ায় অভিনয়ের কাজ করি। ক্যাম্পাসে আমার ফ্যান-ফলোয়াররা দাঁড়ানো ছিল। এ সময় আমাকে স্পর্শ করেছে। আমি শকট হয়ে গেছি। কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের কেউ এমন করতে পারে না। এই ক্যাম্পাসে আমি নিরাপদ কি না জানি না। এ ঘটনায় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আমি এর বিচার চাই। আমি মামলা করতে কোতোয়ালি থানায় যাচ্ছি।’

ওই ছাত্রীর শ্লীলতাহানি ঠেকাতে গিয়ে মারধরের শিকার নাট্যকলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র বিলাস দাস বলেন, ‘আমার ব্যাচমেট বান্ধবী নিজের ছবি ও ভিডিও করছিল। এ সময় সৈকত তার স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে। এতে ভয় পেয়ে সে বিষয়টি আমাকে জানায়। তখন সৈকত আমার গায়েও হাত তোলে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’

অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে সহকারী প্রক্টরের সামনে অভিযুক্ত ছাত্র সৈকত বলেন, ‘আমি ওই মেয়েকে পছন্দ করি। কিন্তু সে আমার ডাকে সাড়া দেয় না।’ এরপর সৈকত ক্ষমা চেয়ে মুচলেকা দিতেও রাজি হন। পরে সৈকতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি আর কিছু বলতে চাননি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা লিখিত বক্তব্য পেয়েছি। সিসি ক্যামেরা দেখা হবে। অভিযোগের প্রমাণ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ওই ছেলেকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, ‘জবি ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্র থানায় আটক আছে। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কাল আদালতে পাঠানো হবে।