• রোববার , ১৯ মে ২০২৪

অগ্নি-অভিষেকে সাকসেস উইকেটকিপার নুরুল


প্রকাশিত: ৯:৫১ পিএম, ১৫ জানুয়ারী ১৬ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

-Nurul-hasan-wicketkiper-www.jatirkhantha.com.bdঅনলাইন ডেস্ক  রিপোর্টার: অগ্নি-অভিষেক এ সাকসেস উইকেটকিপার নুরুল। মাসাকাদজাকে রান আউট করে দিলেন বাংলাদেশ দলের নতুন উইকেটকিপার নুরুল। মাত্রই উইকেটে এসেছে। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ব্যাট হাতে নামলেন এমন এক সময়, দল যখন ভীষণ চাপে।অগ্নি-অভিষেক যাকে বলে।

নিজের তৃতীয় বলটাতেই সাহসী-সুন্দর এক শট! হাঁটু গেড়ে স্কুপ করলেন ব্রায়ান ভিটোরিকে। মাত্র সাত রানের এক ইনিংস খেলেছেন নুরুল হাসান। কিন্তু ওই ছোট্ট ইনিংসটি দিয়েই বুঝিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটাররা কী অসীম আত্মবিশ্বাসী!

দলে আরেক তরুণকে পেয়ে রোমাঞ্চিত অধিনায়ক মাশরাফিও। এঁরাই তো আগামীর কান্ডারি! ম্যাচের প্রথম থেকেই দৃষ্টি কেড়েছেন নুরুল। প্রথম থেকেই বেশ সপ্রাণ ছিলেন উইকেটের পেছনে। শুধু ভালো কিপিং করেছেন বলেই নয়, বোলারদের উৎসাহ দিয়ে মাতিয়ে রেখেছেন মাঠ। ব্যাপারটি দারুণ লেগেছে অধিনায়কের কাছে, ‘নুরুল এখনো অনেক তরুণ।

কম বয়সে সুযোগ পেয়েছে, এখন অবশ্যই ওই তাড়না ওর আছে। মাঠে ছোটাছুটি, সবাইকে সক্রিয় রাখা, এই ব্যাপারগুলো ওর কাছ থেকে আমরা আশা করি। ওকে এ জন্যই দলে নেওয়া হয়েছে। ওর যেটা কাজ ছিল সেটা করতে পেরেছে। আশা করি এটা ধরে রেখে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্য আরও ভালো কিছু করবে।’

অভিষেক ম্যাচেই নুরুলকে দেওয়া হয়েছিল কিপিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। ব্যাটিংয়ে বাড়তি মনোযোগ যেন দিতে পারেন মুশফিক। সেই কাজে সফল নুরুল। নিয়মিতভাবেই যে তাঁকে এ কাজে দেখা যেতে পারে, মাশরাফি তার ইঙ্গিতটাও দিয়ে দিলেন, ‘ওর কিপিং তো অসাধারণ। মুশিও খুব ভালো। তবে প্রথম ম্যাচ হিসেবে নুরুল ভালো করেছে। কিপিংয়ে দারুণ স্বচ্ছন্দ মনে হয়েছে ওকে। সামনে এসে কিপিং করেছে। ওর শক্তির জায়গাগুলো পুরোপুরি ব্যবহার করেছে।’

শুধু কিপিংয়েই নয়। ব্যাট হাতেও কিন্তু আজ দলকে ভালোই নির্ভরতা জোগালেন। ৬ উইকেট পড়ার বাংলাদেশ বেশ অস্বস্তি পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু ওই অবস্থায় নেমেও নুরুল ভয়ে কাবু হননি। সাকিবকে সঙ্গ দিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। প্রয়োজন মতো স্ট্রাইক পরিবর্তন করেছেন যেন সাকিব বেশির ভাগ সময় ব্যাটিংয়ের সুযোগ পান। আবার স্কুপ করে একটি চারও মেরেছেন। এমন পরিণত ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ মাশরাফি, ‘কাজ যেটি, সেটি ভালোভাবেই করতে পেরেছে।

সাকিব ছিল স্ট্রাইকে, সোহানের কাজ ছিল স্ট্রাইক রোটেট করা, মাঝে মধ্যে একটি-দুটি বাজে বলে চার মারা। সেটা সে পেরেছে। মাঠে স্বচ্ছন্দে থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওকে দেখে মনে হয়েছে খুব নির্ভার ছিল। শুরুটা বেশ ভালো। প্রথম ম্যাচেই বিচার করা কঠিন। তবে এই ধরনের ক্রিকেটারকে পেয়ে আমি রোমাঞ্চিত।’