• বৃহস্পতিবার , ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানী- এক মেজর রিয়াদুলের অপকর্মে ক্ষুদ্ধ কিশোরগঞ্জবাসী


প্রকাশিত: ৮:২৩ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ১৬ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৪০ বার

এস রহমান : বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে বেঈমানী করা এক মেজর রিয়াদুলের gaddar-www.jatirkhantha.com.bdবিরুদ্ধে ক্ষুদ্ধ কিশোরগঞ্জের যশোদল গ্রামবাসী।তাঁরা জাতিরকন্ঠে ফোন করে অভিযোগ করেছেন, ওই ব্যাক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধে বাংলাদেশের উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কিশোরগঞ্জ মহকুমায় নিজ গ্রামের বাড়ি যশোদলে টেক্সটাইল মিলের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিজের নামফলক স্থাপন করেছেন।

পরে এ ঘটনায় ফলক ভাঙার অভিযোগে র‍্যাবের ক্যাম্প অধিনায়ককে প্রত্যাহার করেছে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ।কিন্তু এলাকাবাসীর প্রশ্ন এক মেজর রিয়াদুল এই সাহসটা পেলেন কিভাবে? তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান।
সরেজমিনে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্থাপিত ভিত্তিপ্রস্তর ফলক ভেঙে ফেলার অভিযোগে র‍্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. রিয়াদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ওই ক্যাম্পের সহকারী পরিচালক এএসপি রাজীব কুমার দেবকে ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক করা হয়েছে।আজ মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের র‍্যাব ক্যাম্প এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ ব্যাপারে এএসপি রাজীব কুমার দেব বলেন, সৈয়দ নজরুল ইসলামের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক সরানো ও নিজের নামে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নেওয়ায় রিয়াদুল ইসলামকে গতকাল সোমবার প্রত্যাহার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, ১৯৭৫ সালের ৫ মার্চ বাংলাদেশের তৎকালীন উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ মহকুমায় নিজ গ্রামের বাড়ি যশোদলে টেক্সটাইল মিলের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক স্থাপন করেন। টেক্সটাইল মিলটি বর্তমানে বন্ধ আছে। ওই টেক্সটাইল মিলটি বর্তমানে র‍্যাব-১৪, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির (সিপিসি) প্রধান কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

৫ ফেব্রুয়ারি ওই স্থানে মসজিদের উদ্বোধক হিসেবে রিয়াদুল ইসলাম আগের ফলকটি ভেঙে নিজের নামে ফলক স্থাপন করেন। পরে স্থানীয় লোকজনের ক্ষোভের মুখে র‍্যাবের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙে আবার সৈয়দ নজরুল ইসলামের নামের ভিত্তিপ্রস্তর ফলক লাগানো হয়।

ফলক সরানো প্রসঙ্গে রিয়াদুল ইসলাম বলেন, ‘পুরোনো হয়ে ফলক নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নতুন করে লাগানোর জন্যই এটি সরানো হয়েছিল। আমি এখানে আসার পর মসজিদের ব্যাপক সংস্কার করেছি। তাই মসজিদের সংস্কার কাজের উদ্বোধক হিসেবে নিজের নাম লেখা নতুন একটি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলাম।’