• শুক্রবার , ৬ ডিসেম্বর ২০২৪

দেশের সব বিমানবন্দরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন-পদ্মা সেতুতে যেন কোন দুর্নীতি না হয়-প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ১১:৪৫ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ১৫ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

সচিবালয় প্রতিবেদক:   দেশের সব বিমানবন্দরে কঠোhasina-www.jatirkhantha.com.bdর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।একইসঙ্গে বিনা অনুমতিতে কেউ বিমানবন্দরে প্রবেশ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলেছেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। এছাড়া পুরোপুরি বন্ধ না করে সীমিত আকারে কাঁচা পাট রফতানির ব্যবস্থা রাখা উচিত বলে এসময় মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা।

বৈঠক শেষে একাধিক সূত্র জাতিরকন্ঠকে বলেন, ‘বৈঠকে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বিমানবন্দরে নিরাপত্তার বিষয়টি তোলেন। সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ বা গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির (ভিআইপি) সঙ্গে বেআইনিভাবে অনেক লোকজন বিমানবন্দরে ঢুকে পড়ছে। নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দিলেও জোর করে তারা বিমানবন্দরের মধ্যে ঢুকে পড়েন। ইতোমধ্যে কয়েকটি দেশ বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফ্লাইট বাতিলের কথা বলেছে।’ এ সময় আরও কয়েকজন মন্ত্রী বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রীর বক্তব্য সমর্থন করে অনুপ্রবেশ বন্ধের কথা বলেন বলেও জানান তারা।

আলোচনা শুনে প্রধানমন্ত্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিমানবন্দরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিনা অনুমতিতে কেউ বিমানবন্দরে ঢুকবে না।’ বিনা পাশে কেউ ঢুকলে তাকে আটক করার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা। একাত্তরের স্বাধীনতাযুদ্ধ ও যুদ্ধাপরাধ নিয়ে পাকিস্তানের সাম্প্রতিক বিতর্কিত বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে গণমাধ্যমে আরও সংবাদ আসা প্রয়োজন।’ এতে প্রকৃত সত্য ঘটনা উঠে আসবে বলে মনে করেন তিনি।

বৈঠকে কাঁচা পাট রফতানি বন্ধের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, ‘যদি কাঁচা পাট রফতানি বন্ধ করা হয় তাহলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী পুরোপুরি বন্ধ না করে সীমিত আকারে কাঁচা পাট রফতানি করতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীকে নির্দেশ দেন। পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে একজন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু একটি যুগান্তকারী সাফল্য এই সরকারের। বেগম জিয়া সারাজীবন ক্ষমতায় থাকলেও এ জাতীয় কাজ করতে পারবেন না।’ তাই মন্ত্রিসভার একটি বৈঠক পদ্মা সেতুর পাড়ে করার অনুরোধ করেন তিনি।

এর সরাসরি কোন জবাব না দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে পদ্মা সেতু যাতে না হয়, সে লক্ষ্যে সকল চেষ্টা চালানো হয়েছে। এমনকি আমাকে এবং আমার পরিবারকেও অভিযুক্ত করতে চেয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা পারেনি। এমনকি কানাডার যে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল, সে আদালতে শেষ পর্যন্ত পদ্মা সেতু নিয়ে কোন অভিযোগ তারা প্রমাণ করতে পারেনি। এখন ওই আদালতই যারা অভিযোগ করেছিল তারা এই অভিযোগ কেন করেছিল তার কারণ দর্শাতে বলেছে। তারা এখনও এর কোন জবাব দিতে পারেনি।’ প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পদ্মা আমাদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। এটি আমরা ঠিকঠাক মোকাবিলা করতে পেরেছি।’পদ্মা সেতুর বাকি নির্মাণকাজে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সতর্ক ও দুর্নীতিমুক্তভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।