• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

৪৮ ঘন্টার মধ্যে লতিফ সিদ্দিকীকে মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার দাবী : হেফাজতে ইসলাম


প্রকাশিত: ১:০৭ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ১৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৮৯ বার

স্টাফ রিপোর্টার.ঢাকা:

আমরা ক্ষুব্ধ, বিস্মিত, স্তম্ভিত এবং লজ্জিত যে, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রাষ্ট্রীয় খরচে বিদেশে গিয়ে আবদুল লতিফ সিদ্দিকী মহানবীর ব্যাপারে জঘন্য কটূক্তি, পবিত্র হজ ও হাজীদের ব্যাপারে চরম আপত্তিকর মন্তব্য এবং তাবলীগ জামাআতের ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতে সাহস পেলেন। পবিত্র হজ ও মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা:) কে কটাক্ষ করে দেয়া ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও হুঁশিয়ারি জানিয়ে হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীকে সালমান রুশদী ও তসলিমা নাসরিনের পরিণতি ভোগ করতে হবে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।বিবৃতিতে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর মন্ত্রীসভা থেকে বহিষ্কার দাবী করে বলা হয়, বাংলাদেশের মাটিতে তাকে পা রাখতে দেয়া হবে না। সংখ্যারিষ্ঠ নবীপ্রেমিক জনতা সরকারের হঠকারিতারও উপযুক্ত জবাব দেবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ পৃথিবীর দেড়শ’ কোটি মুসলমানের কাছে নিজের জীবনের চাইতে প্রিয় ব্যক্তিত্ব। তিনি মানবতার মুক্তির দূত এবং মহান আল্লাহর প্রেরিত সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী। অন্যদিকে হজ মুসলমানদের প্রধান পাঁচটি মৌলিক ধর্মীয় স্তম্ভের অন্যতম। পবিত্র হজ ও হাজীদের কটাক্ষ করা মহানবী (সা.) কে বিদ্রুপাত্মক ভাষায় তাচ্ছিল্য করার স্পর্ধা দেখিয়ে বর্তমান সরকারের মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নিউ ইয়র্কে যে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য রেখেছেন তা কেবল একজন উগ্র নাস্তিকের পক্ষেই সম্ভব। আমরা অবিলম্বে তাকে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কার এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি জানাচ্ছি।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, যদি সরকার তার বিরুদ্ধে মন্ত্রিসভা থেকে বহিষ্কারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয় তবে দেশের লক্ষ-কোটি নবীপ্রেমিক জনতা আবারও ২০১৩ সালের মতো সারাদেশে নাস্তিক-বিরোধী আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। এবং প্রমাণিত হবে আ’লীগ নাস্তিক-মুরতাদদের দল।

বিবৃতিদাতারা হলেন, হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, নায়েবে আমীর মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী, মাওলানা শামসুল আলম, মাওলানা শাহ্‌ আহমদুল্লাহ আশরাফ, মাওলানা আবদুল মালেক হালিম, মাওলানা তাফাজ্জল হোসাইন হবিগঞ্জ, মুফতি মোজাফফর আহমদ, মাওলানা আবদুল হামিদ পীর সাহেব মধুরপুর, মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ বাবুনগরী।