• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘সিনহা আইনের উর্ধ্বে নয় দুর্নীতি তদন্ত করবে দুদক’


প্রকাশিত: ১:১০ পিএম, ১৫ অক্টোবর ১৭ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

স্টাফ রিপোর্টার :   আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, মি. সিনহা কেন দেশের কেউ’ই আইনের উর্ধ্বে নয়, প্রধান বিচারপতির দুর্নীতি আইন অনুযায়ী anisul-sinha-www.jatirkhantha.com.bdতদন্ত করবে দুদক। অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে যাত্রার আগে গণমাধ্যমকে দেয়া বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনসঙ্গত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিবৃতি প্রসঙ্গে রোববার সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। এসময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথমে সাংবাদিকদের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রধান বিচারপতির ছুটি চাওয়ার দরখাস্ত পড়ে শোনান।এরপর তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতির অসুস্থতার কথা শুনেই রাষ্ট্রপতি তাকে ছুটি দিয়েছেন। কিন্তু দেশ ত্যাগের আগে দেয়া তার বিবৃতি দেখে আমরা হতভম্ব।

তবে প্রধান বিচারপতির এই বিবৃতিতে সরকার বিব্রত নয় বলে দাবি করেন তিনি।সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতির ‘অনুরুপ’ দায়িত্ব ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পালন করতে পারেন মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী বলেন: এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা আইনসঙ্গত নয়। সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন: সুপ্রিম কোর্ট বা অন্য কোন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান যদি মনে করে কেউ ভুল তথ্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ণ করছেন, তাহলে প্রতিষ্ঠান বিবৃতি দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে পারে।

কেউ আইনের উর্ধ্বে নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন: প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আসা অভিযোগের বিষয়ে দুদক আইন মোতাবেক তদন্ত এবং ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।এর আগে শুক্রবার রাতে লিখিত বিবৃতিতে প্রধান বিচারপতি বলেন: আমি সম্পূর্ণ সুস্থ আছি, কিন্তু ইদানিং একটা রায় নিয়ে রাজনৈতিক মহল, আইনজীবী ও বিশেষভাবে সরকারের মাননীয় কয়েকজন মন্ত্রী আমাকে ব্যক্তিগতভাবে যেভাবে সমালোচনা করেছেন, এতে আমি সত্যিই বিব্রত। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকারের একটা মহল আমার বিষয়কে ভুল ব্যখ্যা প্রদান করে পরিবেশন করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার প্রতি অভিমান করেছেন যা অচিরেই দূরীভূত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

তিনি বলেন: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে আমি একটু শঙ্কিত বটে। কারণ গতকাল প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনরত দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে উদ্ধৃত করে মাননীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন,  অচিরেই সুপ্রীম কোর্টের প্রশাসনের পরিবর্তন আনবেন। প্রধান বিচারপতির প্রশাসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির এসব করার রেওয়াজ নেই। তিনি শুধুমাত্র রুটিন মাফিক দৈনন্দিন কাজ করবেন। এটিই হয়ে আসছে।