• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

শোলাকিয়ায় ঘর ভাড়া করে অপারেশন-জঙ্গি কমান্ডার জাহিদুল ১০ দিন রিমান্ডে


প্রকাশিত: ২:১৪ পিএম, ১১ জুলাই ১৬ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৮০ বার

এস রহমান   :  জঙ্গি হামলার পূর্ব পরিকল্পনার ছক কষে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় ঘর ভাড়া করে Solakia jongi jahidul-www.jatirkhantha.com.bdঅপারেশনে নেমেছিল জঙ্গিরা। কিন্তু পুলিশের চৌকষ তৎপরতায় সে প্লান ভেস্তে যায় এবং বড় ধরনের নাশকতার হাত থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ।এই ঘটনার নেতৃত্ব দেয় জাহিদুল ইসলাম।

ঘটনার ভয়াবহতার প্রেক্ষাপটে ঈদগাহ ময়দানের পাশে কর্তব্যরত পুলিশের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় গ্রেফতার আসামি জাহিদুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

Jongi Shariful-jahidul-www.jatirkhantha.com.bdসোমবার সকালে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান জাতিরকন্ঠকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, রোববার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম খানের কাছে জাহিদুল ইসলামের ১০ দিনের রিমাণ্ড চায় পুলিশ।

পরে আদালত জাহিদুল ইসলামের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।এর আগে এ জঙ্গি হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর রোববার বিকালে পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
2
ঈদের দিন ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার শরিফুল ইসলাম (১৯) এবং কিশোরগঞ্জের জাহিদুল হকের (২০) নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলায় দুই আসামিকে জেএমবির সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, রোববার মামলা দায়ের করতে বিকাল হয়ে যাওয়ায় মামলাটি আদালতে দাখিল করা যায়নি। আজ মামলাটি আদালতে দাখিল করবেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কিশোরগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান।

এদিকে কিশোরগঞ্জ শহরে দুই হাজার টাকায় জঙ্গিরা একটি কক্ষ ভাড়া নেয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।রোববার ওই বাসায় সিআইডির ক্রাইমসিন বিভাগের ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরির সাত সদস্যের একটি দল আলামত সংগ্রহ করে কক্ষটি সিলগালা করে দেয়।

মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণ জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন খান জাতিরকন্ঠকে বলেন, জঙ্গি হামলার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গুরুতর আহতদের সুষ্ঠু চিকিৎসা ও নিহতদের দাফন নিয়ে অনেকটা সময় ব্যয় হয়েছে।

তিনি বলেন, তাছাড়া মামলায় যিনি বাদী হয়েছেন তিনি নিজেও ছিলেন চিকিৎসাধীন। ঘটনাস্থল কিশোরগঞ্জ সদর এলাকায় হলেও ওইদিন ঘটনার সময় সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ সামছুদ্দিন।

মামলা দায়েরের আগে তার একটু সুস্থতাও প্রয়োজন ছিল। মামলা দায়েরের আগে সূক্ষ্মভাবে প্রাথমিক তদন্তও সম্পন্ন করতে হয়েছে স্থানীয় পুলিশকে।সূত্র জানায়, মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে চায়। এরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে জনমনে আতংকও সৃষ্টি করে।

তাদের সশস্ত্র আক্রমণে পুলিশ কনস্টেবল জাহিদুল হক ও আনসারুল হক এবং এক নিরীহ বয়স্ক নারী ঝর্না রানী ভৌমিক নিহত হন।জঙ্গিদের এলোপাতাড়ি গুলি ও চাপাতির আঘাতে পুলিশের ১২ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সন্ত্রাসবিরোধী আইন/২০০৯ (সংশোধনী ২০১৩-এর (৬) ২/৮/৯/১০/১২/১৩) সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। এ মামলায় দণ্ডিতদের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড।

এজাহারভুক্ত আসামি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে শরিফুল ইসলাম বর্তমানে র‌্যাবের পাহারায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর কিশোরগঞ্জের পশ্চিম তারপাশা এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে জাহিদুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ সদর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।