• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

ফেসবুকের মাধ্যমে জুটি বাঁধা দম্পতি


প্রকাশিত: ৯:০১ পিএম, ৭ এপ্রিল ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

 

অনলাইন ডেস্ক :

 

ফেসবুকে ভালোবাসার মানুষ খুঁজে পাওয়ার গল্পটা এত দিনে পুরোনো হয়ে গেছে। ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্কে জুটি বেঁধেছেন, এ গল্পও নতুন নয়। ফেসবুকের সম্পর্ক থেকে বিয়ে হচ্ছে নানা দেশেই। নতুন খবরটা

দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘যোগাযোগ অধ্যয়ন’ বিভাগের গবেষকেরা। সম্প্রতি এক গবেষণা থেকে তাঁরা দাবি করেছেন, অন্যান্য অনলাইন যোগাযোগের চেয়ে ফেসবুকে যোগাযোগ থেকে বিয়ে করা তরুণ দম্পতিরা তুলনামূলকভাবে বেশি সুখী এবং তাঁদের মধ্যে দাম্পত্য বিচ্ছেদের ঘটনা কম। ইন্দো-এশিয়ান নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রথাগত পদ্ধতিতে বন্ধু বা পরিবার-পরিজনের মাধ্যমে যোগাযোগ হওয়া পাত্র-পাত্রীদের চেয়ে অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগ সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ থেকে বিয়ে করা দম্পতিরা তুলনামূলকভাবে অল্পবয়সী। কয়েক বছরের মধ্যে বিয়ে করা এসব দম্পতির মধ্যে উচ্চ বেতনের পুরুষের সংখ্যা বেশি বলেও দেখা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে বিয়ে করেছেন এমন ১৮ হাজার ৫২৭ জন ব্যক্তির ওপর জরিপ চালিয়েছেন গবেষকেরা। তাঁদের প্রথমে দুটো দলে ভাগ করা হয়, যাঁরা বিভিন্ন অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমে জুটি বেঁধেছেন, আর যাঁরা অফলাইন বা প্রথাগত পদ্ধতিতে জুটি বেঁধেছেন। তারপর অনলাইনে যোগাযোগ হওয়া দম্পতিদের মধ্যে যাঁরা ফেসবুক থেকে জুটি বেঁধেছেন এবং যারা ইন্টারনেট ডেটিং সাইট, চ্যাটরুম ইত্যাদি থেকে জুটি বেঁধেছেন তাঁদের আলাদা করা হয়।
প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর কাছ থেকে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গবেষকেরা দেখতে পেয়েছেন, ফেসবুকের মাধ্যমে জুটি বাঁধা দম্পতিরা নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে তুলনামূলকভাবে বেশি সুখী এবং নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঝুঁকি কম বলেও মনে করছেন তাঁরা।

 
গবেষণাটির নেতৃত্বদানকারী কানসাস বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জেফরি হল বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মধ্য দিয়ে জুটি বাঁধার বিষয়টা প্রথাগত পদ্ধতির মতোই এবং এখানেও সবাই একটা কাছাকাছি মানসিকতার মানুষদের ঘনিষ্ঠ নেটওয়ার্কের মধ্যেই থাকে।’

 
গবেষণাটিতে আরও বলা হয়েছে, প্রযুক্তিবান্ধব হওয়ার কারণে এবং এই বয়সেই বন্ধুবান্ধবের বহর বড় থাকায় তরুণ-তরুণীরাই অনলাইন যোগাযোগ সাইটগুলোর মাধ্যমে জুটি গড়ায় এগিয়ে থাকেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘সাইবার মনোবিজ্ঞান, আচরণ ও সামাজিক যোগাযোগ’ সাময়িকীতে প্রকাশ হয়েছে।