• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নয়াদিল্লীর ফোন শংকায় বিচলিত-বারকাত


প্রকাশিত: ১:৫৯ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  ‘একটু পরেই হয়তো নয়াদিল্লী থেকে একটা ফোন আসবে, বলবে তোমার এসব কথা বলার দরকার barkat-www.jatirkhantha.com.bdকি? ভারতের ব্যবসায়ীরা নরেন্দ্র মোদীকে তাদের কলাদান প্রজেক্টের কথা বলতেই পারেন।  ভারতের একজন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ঢাকার বোঝা উচিত দিল্লীর এর বেশি করার কিছু নেই।

আবার অনেকগুলো প্রশ্ন করে বলেন, সৌদি আরব ইয়েমেনে হামলা করলে তোমরা তো কোনো প্রতিবাদ করো না। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে কাশ্মীরে গেছে তখন তোমরা কিছু বল না। বিষয়টি এমন যেন ‘ডেমোক্রেটিক চ্যালেঞ্জ ইন ফেভার অব মুসলিম’ করার জন্য রোহিঙ্গারা কাশ্মীর চলে গেছে। ভাই, আমরা কি রোহিঙ্গাদের কাশ্মীর পাঠিয়েছি। এগুলো আমাদের বলা হচ্ছে কেন? আমরা আবার এ কথাও বলতে পারবো না। বললে বলবে প্রশ্ন করেছি তোমাকে করেছি না কাকে করেছি—-।’
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত এ কথা বলেন।মিয়ানমারে রোহিঙ্গা নিধনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।ড. আবুল বারকাত বলেন, মিয়ানমারে ভারতের বেসরকারি একটি প্রজেক্ট রয়েছে। যা কলাদান প্রজেক্ট নামে পরিচিত। এ প্রজেক্টে ভারতের ব্যবসায়ীদের ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ রয়েছে।

এ প্রজেক্টের আওতায় মাল্টিমোডাল ট্রান্সপোর্ট তথা সড়ক নির্মাণ করা হবে। যার বেশিরভাগ অংশ রাখাইন স্টেটের উপর দিয়ে যাবে। এ প্রজেক্ট ধীর গতিতে হওয়ায় ভারতের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চাপ দিচ্ছে। বলছে গিয়ে এর সুরাহা করে আসুন। কিন্তু রাখাইনের যে এলাকা দিয়ে এ প্রজেক্ট যাবে সেখানে রয়েছে প্রচুর মূল্যবান খনিজ পদার্থ বিশেষ করে ইউরেনিয়াম।

ফলে ভারতের ব্যবসায়ীরা মোদীকে পাঠাচ্ছেন শুধু রাস্তার জন্য নয়, এটা ইউরেনিয়ামের বিষয়। যে ইউরেনিয়ামের প্রতি আগে থেকেই চীনের নজর ছিল, ভারতও ইদানিংকালে নজর দিয়েছে। আর ওই দূর থেকে নজরে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তারা হয়তো ফলো করছেন, এরা একটু মারামারি করুক। পরে আমি বলব, এই এত মারামারি কিসের, একটু দেখিতো কী হলো?’

তিনি বলেন, ‘আজ আমি যে কথা বলছি এক বছর পরে দেখা যাবে তা মিলে গেছে। ইতোপূর্বে এভাবে দেখা গেছে আমরা একটি বিষয়ে বলেছি, ১০ বছর পরে তাই ঘটেছে। এভাবে যুক্তি-প্রমাণ দিয়ে বলার সাহস থাকতে হয়। এটা কঠিন কাজ। অনেক ভাবতে হয়। আমি হয়তো সাহস করে বলেছি। কিন্তু একটু পরেই দেখা যাবে নয়াদিল্লী থেকে একটি ফোন আসবে-বলবে তুমি এগুলো বললে কেন?’