• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

টাকার বিনিময়ে নেতা-!


প্রকাশিত: ৬:১০ পিএম, ৩ জানুয়ারী ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৫ বার

al-www.jatirkhantha.com.bdবিশেষ প্রতিনিধি :  টাকার বিনিময়ে নেতা হওয়ার চেষ্টা করছিল ‘ওরা’। কিন্তু নাখোশ এলাকার ত্যাগী নেতারা। পরে ঘটনাটি জানানো হয় দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার কাছে। তাঁকে বলা হয়,কমিটিগুলোতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ত্যাগী ও দক্ষ নেতাদের স্থান হয়নি।এ অবস্থায় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের থানা-ওয়ার্ড-ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন নিয়ে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির খবরে তোলপাড় চলছে।

এসম্পর্কে এবার প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার কাছে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতারা। তাদের অভিযোগ, উত্তর আওয়ামী লীগ সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ এমপি ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটিগুলোতে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে ত্যাগী ও দক্ষ নেতাদের স্থান হয়নি।এসব কারণে তদন্তের আগে কমিটি প্রকাশ না করার নির্দেশ দিয়েছেন দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আপাতত অনুমোদিত কমিটিগুলো স্থগিত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন যে, উত্তরের কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা ও দলের সভাপতিম-লীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো কমিটিই গ্রহণ করা হবে না। তা ছাড়া কমিটি ঘোষণার আগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতারা আরও যাচাই-বাছাই করবেন। বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাদের দিয়েই সব পর্যায়ের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হবে। এসব কমিটি থানা-ওয়ার্ড-ইউনিয়ন নেতাদের মাধ্যমেই পূর্ণাঙ্গ করা হবে বলেও জানান তিনি।

মঙ্গলবার বিকেলে গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন নেতারা। তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।সূত্র জানায়, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী থানা-ওয়ার্ড নেতাদের কাছে পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন কে দিয়েছে, তা জানতে চান। এ সময় নেতারা উত্তরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম বললে সেখানে ফারুক খানের স্বাক্ষর আছে কি-না সেটিও জানতে চান। নেতারা না সূচক জবাব দিলে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, ফারুক খানের স্বাক্ষর ছাড়া কোনো কমিটি অনুমোদন হবে না।

কেননা তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) ফারুক খানকে দায়িত্ব দিয়েছেন, সব অভিযোগ তদন্ত করে কমিটি চূড়ান্ত করতে। আপাতত সব কমিটি স্থগিত থাকবে।গত ২৭ ডিসেম্বর নগর উত্তরের অন্তর্গত ২৬টি থানা, ৪৬টি ওয়ার্ড ও ৯টি ইউনিয়নের পূর্ণাঙ্গ কমিটিকে অনুমোদন করেন উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। শীর্ষ দুই নেতার স্বাক্ষরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কমিটি অনুমোদনের কথা জানানো হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থগিত থাকার পাঁচ মাস পর আবারও ‘অভিযুক্ত’ কমিটিগুলোকে আবারও অনুমোদন দেওয়া নিয়ে তখনই প্রশ্ন ওঠে।

এমনকি কমিটি পূর্ণাঙ্গকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাও বলেন, এ বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তখন এ নিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নেন।এর আগে গত ৫ জুলাই একই কমিটির অনুমোদন দেন উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের অভিযোগের কারণে তখন অনুমোদনের একদিনের মাথায় সব কমিটি স্থগিত করেন শেখ হাসিনা। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় নেতাদের ওই কমিটির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেন।

দলীয় সভাপতির নির্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনেকগুলো অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব দেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে। এ প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সভাপতিম লীর সদস্য ফারুক খান জানান, প্রধানমন্ত্রী জুলাই মাসেই উত্তরের নেতাদের বলেছিলেন, তাকে (ফারুক খান) দেখিয়ে কমিটিগুলোর অনুমোদন চূড়ান্ত করতে। কিন্তু মহানগর উত্তরের নেতারা কখন, কোথায়, কাদের সঙ্গে আলাপ করে আবারও একই কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন, সেটি তার জানা নেই।