• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ঢাকা হলি আর্টিজানে


প্রকাশিত: ১১:৪৭ এএম, ১ জুলাই ১৭ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৪ বার

স্টাফ রিপোর্টার :  জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার বর্ষপূর্তিতে নিহতদের স্মরণে শ্রদ্ধা holy artizan-killer gongi-www.jatirkhantha.com.bd.====নিবেদন করছেন দেশি-বিদেশি সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই হলি আর্টিজানে ফুল নিয়ে আসছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ ও নিহতদের স্বজনরা। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বিএনপির পক্ষে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

arএসময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগরীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী হলি আর্টিজানে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পাটি, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি (ঘাদানিক), বাংলাদেশস্থ জাপান দূতাবাস, দাতা সংস্থা জাইকাসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা হলি আর্টিজানের নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতে ইসলাম, হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দানকারী দলগুলোকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তাহলে দেশ থেকে জঙ্গি নির্মূল হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিনী, শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা নুজহাত আলিম, শহীদ জায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী প্রমুখ। সকাল থেকেই হলি আর্টিজানে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন সর্বস্তরের নারী-পুরুষ ও শিশুরা। সাধারণ পথচারীও এ সময় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে হলি আর্টিজানের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ জানান অনেকেই। সেখানে ছিলেন নিহতদের স্বজনরাও। বয়স্কদের পাশাপাশি শিশুরাও ছিলো এই শোকের কাতারে। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে নিহতদের স্বজনদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।এদিকে হলি আর্টিজানের হামলার বর্ষপূতিতে ওই এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আগতদের ব্যাপক তল্লাশি চালায় পুলিশ।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশান-২ এর ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে একদল জঙ্গির হামলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশিসহ ২২ জন প্রাণ হারান। পরদিন সকালে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে হলি আর্টিজানের নিয়ন্ত্রণ নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। অভিযানে নিহত হয় ৬ জঙ্গী।