চার মন্ত্রীর শপথ-হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়বে মোস্তাফা জব্বার
এস রহমান : অবশেষে নতুন বছরে মন্ত্রী হলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার, লক্ষ্মীপুরের সাংসদ শাহজাহান কামাল ও মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ তাঁদের শপথ বাক্য পাঠ করান। এর আগে সোমবার তাঁরা বঙ্গভবনের আমন্ত্রণ পান।বঙ্গভবন সূত্র জানায়, আজ শপথ নিয়েছেন নতুন চার মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রী। রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী কে প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
মন্ত্রী হওয়ার পর তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার জাতিরকন্ঠকে বলেন, এখন অনেক দায়িত্ব বেড়ে গেল। মন্ত্রী হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বললেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার স্বপ্নকে এগিয়ে নেয়াই আমার প্রথম দায়িত্ব।একই সঙ্গে দেশনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের সর্বাত্মকভাবে কাজ করবো।
বিকেলে শপথ নিতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শাহজাহান কামাল, রাজবাড়ী-১ আসনের সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী ও তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ মোস্তাফা জব্বার।বঙ্গভবনে প্রবেশের সময় এ কে এম শাহজাহান কামালের সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ও কন্যা, কাজী কেরামত আলীর সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী, মেয়ে, বোন ও শ্যালিকা এবং মোস্তাফা জব্বারের সঙ্গে ছিলেন তার ছেলে, ভাই, ও ভাইয়ের ছেলে।
মঙ্গলবার বিকালে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ দৈনিক জাতিরকন্ঠকে বলেন, আমাকে আজ সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ফোন করে আগামীকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।এ বিষয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে ফোন করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ধারণা করা হচ্ছে, দীর্ঘদিন থেকে চলে আসা মন্ত্রিসভায় রদবদলের অংশ হিসেবেই তাদেরকে বঙ্গভবনে ডাকা হয়েছে।শাহজাহান কামাল এবং কাজী কেরামত আলীকে প্রতিমন্ত্রী করা হতে পারে। মোস্তফা জব্বারকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী করা হতে পারে।২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রীর দায়িত্ব পান ছায়েদুল হক। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন।