• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

খালেদা জিয়ার জাতীয় সংলাপের আহবান নাকচ করলেন ওবায়দুল


প্রকাশিত: ৭:৩৯ পিএম, ৬ নভেম্বর ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

communication-ministerস্টাফ রিপোর্টার:   সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপে বসতে হলে যোগ্যতা লাগে। যোগ্যতা ছাড়া সংলাপ হয় না। আন্দোলন করার যাদের শক্তি নেই, তারাই এখন ঘন ঘন সংলাপের কথা বলে।শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনী মিলনায়তনে ডিআরইউ’র সদস্য লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জাতীয় সংলাপ করার যে আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের তাও নাকচ করে দেন।

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরায় বিলম্বকে ইঙ্গিত করে কাদের বলেন, ‘যাই যাই করে যাওয়া হয় না, আসি আসি করে আসা হয় না। এখন দেশে একটা প্রশ্নবোধক চিহ্ন, কবে আসবেন? কিন্তু ঢিল ছোড়া বন্ধ হয়নি। বিদেশের মাটিতে বসে বিক্ষিপ্ত ঢিল ছুড়ে দেশে কি সরকার পরিবর্তন সম্ভব?’

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকে টেমস নদীর পাড় থেকে শব্দবোমা নিক্ষেপ করে সরকার পরিবর্তন হবে না। জাতীয় কোনো ঐক্য হবে না। জাতীয় সংলাপও হবে না। জাতীয় সংলাপ করতে হলে পরিবেশ দরকার। সেই পরিবেশ কারা নষ্ট করছে? তারা লেখকদের ওপর হামলা করছে। প্রকাশকদের ওপর হামলা করছে। তারা বিদেশি নাগরিকদের ওপর হামলা করছে। তারা পুলিশের ওপর হামলা করছে। তারা রাজনীতিকদের, লেখকদের টার্গেট করেছে। এই পরিবেশ কি সংলাপের পরিবেশ?

আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সংলাপ করতে পরিবেশের যেমন দরকার, যোগ্যতারও দরকার। যে দল আন্দোলনে বিজয়ী হতে পারে না, তারা নির্বাচনেও বিজয়ী হতে পারে না। বিদেশে বসে ঢিল মেরে সংলাপ করা যায় না। এই মাটিতেই সে যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।

ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তাজুল ইসলাম, ডিআরইউ’র সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, ডিআরইউ কার্যনির্বাহী সদস্য হরলাল রায় সাগর। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডিআরইউৎর কল্যাণ সম্পাদক শাহনাজ শারমিন।

সম্মননা পেলেন যারা: এ বছর ডিআরইউ’র ২২ সদস্য লেখককে সম্মননা দেওয়া হয়। সম্মননা হিসেবে প্রত্যেককে ত্রেস্ট, সনদপত্র ও পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। সম্মননা প্রাপ্তরা হলেন- বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার শামসুল আলম বেলাল, ভোরের কাগজের ঝর্ণা মনি ও শামসুজ্জামান শামস, আজকের পত্রিকার এম. উমর ফারুক, সমকালের আলতাব হোসেন ও ইন্দ্রজিৎ সরকার, ইনকিলাবের মিজান মাহমুদ, আমার দেশের হাসান হাফিজ, অবজারভারের জীবন ইসলাম, মানবজমিনের কাফি কামাল, জনকণ্ঠের কাওসার রহমান, মাই টিভির আমিরুল মোমেনিন মানিক, উত্তরবঙ্গ সংবাদের নির্মল চক্রবর্তী, এবি নিউজের শাহীন চৌধুরী, দি ইকোনমি টুডের শেখ মাহমুদ এ রিয়াত, এটিএন নিউজের ইশরাত জাহান, ইত্তেফাকের পিনাকি দাশগুপ্ত ও দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, সংগ্রামের শাহেদ মতিউর রহমান, আরটিভির আকতার হোসেন, কালের কণ্ঠের ওমর ফারুক এবং চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের আমীন আল রশীদ।