• শনিবার , ২৭ এপ্রিল ২০২৪

‘অপারেশন আইরিন’ শাহজালালে মিলল যৌনউত্তেজক বড়ির পাহাড়


প্রকাশিত: ১১:১৮ পিএম, ১৪ জুলাই ১৬ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৮ বার

বিশেষ প্রতিনিধি    :   ‘অপারেশন আইরিন’ শাহজালালে মিলল যৌনউত্তেজক বড়ির পাহাড়। র‍্যাবের Oparation ireen-www.jatirkhantha.com.bdডগ স্কোয়াড দিয়ে শাহজালাল এয়ারপোর্টের ফ্রেইট ইউনিটের কুরিয়ার ও পোস্টাল শাখায় এই বিশেষ তল্লাশি চালানো হয়। অপারেশন আইরিন নামের এই অভিযানে ৩০ কেজি ওজনের একটি পার্সেল, ৭ হাজার ৪০০টি যৌন উত্তেজক বড়ি ও ছুরি উদ্ধার করা হয়।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৭ হাজার ৪০০টি যৌন উত্তেজক বড়ি, ছয়টি ছুরি এবং ক্যাপসুল-জাতীয় দ্রব্য-ভর্তি একটি কৌটা উদ্ধার করা হয়েছে। র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘অপারেশন আইরিন’ নামের এক বিশেষ অভিযান চালিয়ে এগুলো উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।

অভিযান শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান বলেন, বেলা আড়াইটার দিকে বিমানবন্দরের ফ্রেইট ইউনিটের কুরিয়ার ও পোস্টাল শাখায় র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের সহায়তায় তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় একটি কৌটায় ক্যাপসুল-জাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। এগুলো পরীক্ষার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাঠানো হবে।

এ ছাড়া বিমানবন্দরের জিপিও অফিস থেকে ৩০ কেজি ওজনের দুটি পার্সেল থেকে ৭ হাজার ৪০০টি ভায়াগ্রা ও বিভিন্ন আকারের ছয়টি ছুরি উদ্ধার করা হয়। আমদানিনীতি আদেশ না মেনে ওষুধগুলো চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের প্রগতি মার্কেটের তসলিম নামের এক ব্যক্তির নামে দুবাই থেকে এসেছে। এর মূল্য এক লাখ টাকা। ক্যাপসুল এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে। ছুরিগুলো পার্সেল ঘোষণা ছাড়া গাজীপুরের জয়দেবপুরের কলোনি এলাকার দৈউলিয়ার মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির ঠিকানায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছে।

মইনুল খান আরও বলেন, গত তিন বছরে বিভিন্ন দেশের কাস্টমস প্রশাসন কর্তৃক এক হাজারের বেশি অস্ত্র, গোলাবারুদ ও বিস্ফোরকের চালান আটক হয়েছে। এনফোর্সমেন্ট কমিটি অব দ্য কাস্টমস কো-অপারেশন কাউন্সিলের পর্যালোচনায় দেখা যায়, আসিয়ান ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ ধরনের আটকের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।

ওই কমিটির ৩৫তম সভার সিদ্ধা‌ন্ত অনুযায়ী অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বিস্ফোরক, মাদক ও অন্যান্য অবৈধ ও নিরাপত্তার ঝুঁকি-সংবলিত পণ্যের ব্যবসা বা পরিবহন ঠেকাতে ৪ জুলাই থেকে ‘অপারেশন আইরিন’ নামে একটি আঞ্চলিক অভিযান শুরু হয়েছে। এটি চলবে ২৩ জুলাই পর্যন্ত।

অভিযানটি ওয়ার্ল্ড কাস্টমস অরগানাইজেশনের (ডব্লিউসিও) অধীনে রিজিওনাল ইন্টিলিজেন্স লিয়াজোঁ অফিস ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক (আরআইএলওএপি) সার্বিক সমন্বয় করছে। আরআইএলওএপির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ এ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।