• শুক্রবার , ২৬ এপ্রিল ২০২৪

অধরা সোনার গডফাদাররা-এবার ১২ কেজি সোনা জব্দ


প্রকাশিত: ৮:৫২ পিএম, ২২ আগস্ট ১৪ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার

 

gold-bar----1শফিক আজিজি, ঢাকা: 
রাজধানীতে এবার ধরা পড়েছে ১২ কেজি সোনার বার।বাহক ধরা পড়েছে দুই জন।রাজধানীর শাহজালাল আন্তজার্তিক বিমান বন্দরে  প্রায় দিন’ই সোনার চালান ধরা পড়লেও  অধরা’ই থেকে যাচ্ছে দাগি স্মাগলার গডফাদাররা ।
পুলিশ ও গোয়েন্দারা এদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারছেনা।যারা পাকরাও হচ্ছে তারা সোনার বাহক।এবার সোনার চালান ধরা পড়েছে কমলাপুর রেল স্টেশনে।

গত কয়েক দিনে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একের পর এক সোনার বার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। এবার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেও সোনার বার উদ্ধারের ঘটনা ঘটল।

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ও শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১১ কেজি ৮০০ গ্রাম সোনাসহ দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রেলওয়ে থানার পুলিশ ও বিমানবন্দরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ মো. শাহীন ও আল আমিন নামের ওই দুই ব্যক্তিকে সোনাসহ আটক করে।

কমলাপুরে ৪০ সোনার বার
সকাল পৌনে আটটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনে করে শাহীন ঢাকায় আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রেলওয়ে থানার পুলিশ তাঁকে আটক করে তল্লাশি চালায়। এ সময় তাঁর কোমর থেকে ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মজিদের জানান, আটক সোনার ওজন সাড়ে চার কেজি। এগুলোর মূল্য আড়াই কোটি টাকা হতে পারে বলে তিনি জানান।

ওসি বলেন, শাহীন কোমরে বিশেষ কায়দায় সোনার বারগুলো লুকিয়ে রেখেছিলেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে আটক করে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

বিমানবন্দরে সাত কেজি ৩০০ গ্রাম সোনা
আজ সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাত কেজি ৩০০ গ্রাম সোনাসহ মালয়েশিয়া থেকে আসা আল আমিনকে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের ভাষ্য, উদ্ধার করা সোনার মূল্য প্রায় তিন কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মইনুল খান  জানান, কুয়ালালামপুর থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে করে ভোর ছয়টায় আল আমিন ঢাকায় আসেন। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেলে তাঁকে আটক করে ব্যাগে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় ওই ব্যাগ থেকে এক কেজি ওজনের পাঁচটি সোনার বার, ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বার ও ১০০ গ্রাম করে ১৮টি বার উদ্ধার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।