• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

সিলেটের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যা মামলার প্রধান আসামি কামরুল সৌদি আরব থেকে পাকরাও


প্রকাশিত: ৬:০৪ পিএম, ১৫ অক্টোবর ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪৯ বার

এস রহমান.ঢাকা:   সিলেটে শিশু সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার প্রধান আসামি কামরুল ইসলামকে সৌদি আরব থেকে নিয়ে ফিরেছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৫৭ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি ০৪০ ফ্লাইটে রিয়াদ থেকে কামরুলকে নিয়ে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে পুলিশের তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।sylhet-child-killer-kamrul-www.jatirkhantha.com.bd

বিমানবন্দর আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) জ্যেষ্ঠ এএসপি আলমগীর হোসেন শিমুল জাতিরকন্ঠকে জানান,  প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পুলিশ সদরদফতরের অতিরিক্ত সুপার মাহাবুবুল করিম। দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সিলেট মহানগর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ ও সহকারী পুলিশ কমিশনার এএফএফ নেজাম উদ্দিন।

গত ৮ জুলাই সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অভিযোগ তুলে খুঁটিতে বেঁধে ১৩ বছরের শিশু রাজনকে পিটিয়ে হত্যার পর পরই কামরুল সৌদি আরবে পালিয়ে গিয়ে প্রবাসীদের ধরা পড়েন।রাজনকে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিত্ত অভিযুক্তরাই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছিল। ওই দিন শিশু রাজনকে পেটানোয় কামরুলই বেশি সক্রিয় ছিল বলে ওই ভিডিওতে দেখা যায়।

এরপর এ নিয়ে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পরে কামরুলকে ফেরাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ পুলিশ, জারি করা হয় রেড নোটিস।কামরুলকে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সৌদি কর্তৃপক্ষকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে অনুরোধ করলে তারা সম্মত হয়। এরপর সৌদি পুলিশের হেফাজতে থাকা কামরুলকে আনতে গত সোমবার ভোরে রিয়াদে যায় পুলিশের প্রতিনিধি দল।

এদিকে, শিশু রাজন হত্যা মামলায় কামরুলসহ তিন জনকে পলাতক দেখিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বিচার শুরু হয়েছে সিলেটের আদালতে। ঘটনার দেড় মাস পর তদন্ত শেষ করে গত ১৬ আগস্ট ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সুরঞ্জিত তালুকদার। এরপর ২২ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় আলোচিত এ হত্যা মামলার বিচার প্রক্রিয়া। ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে বুধবার পর্যন্ত এই মামলায় ২৯ জনের জবানবন্দি শুনেছে আদালত।

এ মামলার আসামিদের মধ্যে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পলাতকদের মধ্যে কামরুলের ভাই সদর উপজেলার শেখপাড়ার বাসিন্দা শামীম আহমদের সঙ্গে পাভেল আহমদ নামের আরেকজন রয়েছেন। কামরুলের আরেক ভাই এই মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।পলাতক কামরুল, শামীম এবং পাভেলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়েছিল।