• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

সাভার হেমায়েতপুরে খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রি দেদারসে


প্রকাশিত: ১০:৫২ পিএম, ২৩ জানুয়ারী ২৪ , মঙ্গলবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২২ বার

সাভার প্রতিনিধি : এবার সাভারে পাম্পে সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রি হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে সিলিন্ডারে করে খোলা বাজারে গ্যাস বিক্রির পর এবার পাম্প থেকেই গ্যাস বিক্রি হতে দেখা হচ্ছে। বিষয়টি পুরো অবৈধ হলেও এক শ্রেনীর দুর্নীতিবাজ পাম্প মালিক অতিরিক্ত লাভের আশায় এ অপকর্ম করছে সাভার এলাকায়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সাভার হেমায়েতপুরের বিভিন্ন পাম্পে এসব ঘটনা ঘটছে। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে এ অপকর্ম হচ্ছে প্রকাশ্যে। দেখা গেছে, গ্যাস নেওয়ার জন্য লম্বা সারিতে দাঁড়িয়ে আছে অসংখ্য গাড়ি। ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরা বলছেন, গ্যাস নেই। অথচ পাশেই দাঁড়ানো একটি কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে সারি সারি খোলা গ্যাস সিলিন্ডারে প্রকাশ্যেই দেয়া হচ্ছে গ্যাস। আর গ্যাস না পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সিএনজিচালিত গাড়ির চালকরা।

সবকটি সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে প্রকাশ্যে কাভার্ডভ্যানের ভেতরে সিলিন্ডারে করে গ্যাস নিয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন এলাকায়। যে কারণে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ে গ্যাস সংকট আরো তীব্র হচ্ছে। একই সাথে এটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যদিও তিতাস গ্যাস কর্মকর্তারা ও বিস্ফোরক পরিদপ্তর বলছে, সিএনজি ফিলিং স্টেশন থেকে খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়ার কোন নিয়ম নেই।

এক গাড়ি চালক বলেন, বড় বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে তাকে। আমরা গেলে বলে গ্যাস নেই। একটা কাউন্টারে কাভার্ডভ্যানগুলো দাঁড়িয়ে থাকে। আমরা দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকলেও গ্যাস পাই না। খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়া নিষিদ্ধ হলেও কারখানার জন্য গ্যাস নিতে আসা কাভার্ড ভ্যানের চালক আর ফিলিং স্টেশনের কর্মচারী জানান, মালিকের নির্দেশেই খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস দেয়া হয়। কাভার্ড ভ্যান এক চালক বলেন, প্রতিদিন ৩০-৪০ টাকার গ্যাস তারা সিলিন্ডারে করে সরবরাহ করছেন।

আর ফিলিং স্টেশেনের কর্মচারীর বক্তব্য, তারা নিয়ম বহির্ভূতভাবে কিছুই করছে না।তিতাস গ্যাসের এক কর্মকর্তা জানান, গাড়ির ফিলিং স্টেশন থেকে কল-কারখানার জন্য খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস বিক্রির নিয়ম নেই। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সাভার জোনের ডিজিএম আবু সাদাত মো. সায়েম বলেন, প্রতি তিনমাসে অন্তত একবার সিএনজি স্টেশনগুলো ভিজিট করা হয়। যাতে কোনো অনিয়ম, অসংগতি, চুরি এসব হচ্ছে কিনা তা যাচাই-বাছাই করা হয়।

আর বিস্ফোরক পরিদপ্তরের উপপ্রধান পরিদর্শক জানান, কাভার্ড ভ্যানে করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে খোলা সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহের নিয়ম নেই। একারণে অতীতে বেশ কয়েকটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে।বিস্ফোরক পরিদপ্তরের উপ-প্রধান পরিদর্শক মনিরা ইয়াসমিন বলেন, স্টেশন থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস নিতে পারে না। কোনো নিয়ম নেই। যাদের সরকার অনুমোদন দিয়েছে তাদের থেকে নিতে পারবে। কিন্তু কোনো ফিলিং স্টেশন থেকে নয়।জানা গেছে, সাভার ও আশুলিয়ায় প্রতিদিন গ্যাসের চাহিদা ২৬০ মিলিয়ন ঘনফুট, আর বর্তমানে পাওয়া যাচ্ছে ১৬০ মিলিয়ন ঘনফুট।