• রোববার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪

অবহেলার জবাব- বিপিএল চ্যাম্পিয়ন তামিমের বরিশাল


প্রকাশিত: ১:০৮ এএম, ২ মার্চ ২৪ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৯ বার

 

স্পোর্টস রিপোর্টার : অবশেষে অবহেলার জবাব ব্যাটে বলে দিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হলো তামিমের বরিশাল।বিপিএলে কুমিল্লার হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বরিশাল। তামিম ইকবালের হাত ধরে চতুর্থবারের প্রচেষ্টায় অধরা শিরোপা ঘরে তুলল দলটি। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দশম আসরের শিরোপা নির্ধারণী ফাইনাল ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৫৪ রান করেছিল লিটন দাসের দল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

জবাব দিতে নেমে ওপেনিংয়ে তামিম-মিরাজের জুটির পর মায়ার্সের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯ ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌছে যায় বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দেওয়া ১৫৫ রান তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত শুরু পায় ফরচুন বরিশাল। তামিম-মিরাজের জুটি টিকে থাকে অষ্টম ওভারে পর্যন্ত। দলীয় ৭৬ রানে তামিমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

২৬ বলে ৩৯ রানের বিষ্ফোরক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন বরিশালের অধিনায়ক। স্কোরকার্ডে ৬ রান যোগ করতেই ফেরেন মিরাজও। ২৬ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ২৯ রান করে মঈন আলীর শিকার হন তিনি। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও কাইল মায়ার্স। মুশফিককে এক প্রান্তে রেখে চার ছক্কার ফুলঝুড়ি ফোটাতে থাকেন মায়ার্স। দুজনে মিলে গড়েন ৫৯ রানের জুটি। দলীয় ১৪১ রানে মায়ার্সের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

৫ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কার সৌজন্যে ৩০ বলে ৪৬ রান করেন মায়ার্স। স্কোরকার্ডে ৩ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফেরেন মুশফিক। ১৮ বলে ১৩ রান করেন তিনি। তবে জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি বরিশালের।বাকি কাজটা সহজেই সেরেছেন মাহমুদউল্লাহ ও ডেভিড মিলার। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত ছিলেন ৭ রান করে। আর ৮ রান করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন মিলার।

এর আগে, টসে জিতে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টসে হেরে কুমিল্লার হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন সুনীল নারিন ও লিটন দাস। প্রথম ওভারেই মাত্র ৫ রানে আউট হন নারিন। চলমান বিপিএলে ফর্মের তুঙ্গে থাকা তাওহিদ হৃদয়ও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ব্যক্তিগত ১৫ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাসও। ফেরার পূর্বে ১২ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

৩ উইকেট হারিয়ে চাপে থাকা কুমিল্লাকে টানছিলেন জনসন চার্লস ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তবে দুজনের জুটিতে ২৩ রানের বেশি হয়নি। দলীয় ৬৫ রানে ম্যাককয়ের বলে তামিমের ক্যাচ হয়ে সাজঘরে ফেরেন চার্লস। ফেরার আগে ১৭ বলে ১৫ রান করেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার। দলীয় ৭৯ রানে রান আউট হয়ে ফিরলেন মঈন আলি। এতে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যায় কুমিল্লা।

ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলী অনিককে নিয়ে দলের হাল ধরেন অঙ্কন। দুজনে মিলে গড়েন ৩৬ রানের জুটি। ২টি করে চার-ছক্কা হাঁকানো অঙ্কন ৩৫ বলে ৩৮ রান করে বিদায় নিলে ক্রিজে নামেন আন্দ্রে রাসেল।শেষ দিকে ঝড় তোলেন এই ক্যারিবিয়ান। ১৯তম ওভারে জেমস ফুলারের ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন। খেলেন ১৪ বলে অপরাজিত ২৭ রানের ইনিংস। এছাড়া জাকের আলী ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৪ রান দাঁড়ায় কুমিল্লার সংগ্রহ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স: ২০ ওভারে ১৫৪/৬ (সুনীল নারিন ৫, লিটন দাস ১৬, তাওহীদ হৃদয় ১৫, জনসন চার্লস ১৫, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৩৮, মঈন আলী ৩, জাকের আলী অনিক ২০*, আন্দ্রে রাসেল ২৭*; মায়ার্স ৪-০-২৫-১, সাইফ ৪-০-৩৭-১, ফুলার ৪-০-৪৪-২, তাইজুল ৪-০-২০-০, ম্যাককয় ৪-০-২৪-১)।

ফরচুন বরিশাল: ১৯ ওভারে ১৫৭/৪ (তামিম ইকবাল ৩৯, মেহেদি হাসান মিরাজ ২৮, কাইল মায়ার্স ৪৬, মুশফিকুর রহিম ১৩, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৭*, ডেভিড মিলার ৮*; তানভীর ৩-০-২৪-০, বর্ষণ ১-০-১৫-০, নারাইন ৪-০-২১-০, মোস্তাফিজ ৪-০-৩১-২, মঈন ৪-০-২৮-২, রাসেল ৩-০-৩৩-০)।