• শনিবার , ১৮ মে ২০২৪

সক্ষমতা বেড়েছে মানুষের-প্লট ফ্ল্যাট বিক্রি ৩৫১ কোটি


প্রকাশিত: ৫:৫৯ পিএম, ২৫ ডিসেম্বর ২২ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬০ বার

স্টাফ রিপোর্টার : ফ্ল্যাট-প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং দাম বাড়ার পরও মানুষ কিনেছে। এতে বোঝা যায় মানুষের সক্ষমতা বেড়েছে। রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) বলেছে, তাদের আয়োজিত আবাসন মেলার পাঁচদিনে ৩৫১ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এছাড়া গৃহঋণ সংক্রান্ত ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা।

রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে রিহ্যাব কর্তৃপক্ষ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন রিহ্যাবের সহ-সভাপতি (প্রথম) কামাল মাহমুদ, মেলা বাস্তবায়ন কমিটির চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব সহ-সভাপতি (অর্থ) প্রকৌশলী সোহেল রানা, রিহ্যাব প্রেস-মিডিয়া কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও রিহ্যাব পরিচালক মো. সুলতান মাহমুদ, রোটারিয়ান এস এম এমদাদ হোসেন, ড. এ এফ এম কামাল উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মেলার শেষদিন আজ দুপুর ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩৫১ কোটি ১৬ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট এবং বাণিজ্যিক স্পেস বিক্রি ও বুকিং হয়েছে। এরমধ্যে ফ্ল্যাট বিক্রি ও বুকিং হয়েছে ১৬৮ কোটি টাকার। আর প্লট ৮০ কোটি এবং বাণিজ্যিক স্পেস ৫৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকার বুকিং ও বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্যাংক কমিটমেন্ট এসেছে প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থী এসেছেন ১৬ হাজার ১৩২ জন।

২১ ডিসেম্বর শুরু হওয়া ৫ দিন ব্যাপী মেলা শেষ হয় ২৫ ডিসেম্বর দুপুর ২টায়। মেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রিহ্যাব। মেলা প্রাঙ্গনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর অনেক অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল মাধ্যমে তাদের পণ্য তুলে ধরেছেন। বিদেশ থেকেও প্রবাসীরা খোঁজ খবর নিয়েছেন।

চলতি বছর মেট্রোরেলের কারণে উত্তরা এবং মিরপুরের দিকে ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি। কারণ আর দুই দিন পরেই মেট্রোরেলের আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হতে যাচ্ছে এবং আগামী বছর মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই এলাকার নাগরিকরা সহজেই যাতায়াত করতে পারবেন ফলে সেখানে ফ্ল্যাটের চাহিদা বাড়ছে।

এ বছর ফ্ল্যাটের দাম আগের চেয়ে তুলনামূল বেশি। রড-সিমেন্ট সহ বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধি, ড্যাপ এ ফার হ্রাসসহ নানা কারণে ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে ড্যাপে ফার এর পরিমান বাড়ানো হবে এমন প্রত্যাশা করে আবাসন খাতের জন্য নীতি সহায়তা চাওয়া হয় সরকারের কাছে।