• বুধবার , ৮ মে ২০২৪

শোয়েবের পল্টিবাজী-ইমরান খানকেও হার মানিয়েছে


প্রকাশিত: ১২:১৬ এএম, ২২ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৬ বার

 

 

স্পোর্টস রিপোর্টার : পল্টিবাজীতে ওস্তাদ পাকিস্তানী ক্রিকেটাররা। আগে প্লেবয় ইমেজ মুছে ওরা এখন পুরো পল্টিবাজ হয়ে উঠেছে। একের এক নারী পাল্টানো এই পল্টিবাজ ক্রিকেটারদের যেন নেশা হয়ে গেছে। দেশটির তারকা ক্রিকেটারদের নারীসঙ্গ নিয়ে সময় সময় বহু রটনা থেকে গল্পেরও জন্ম দিয়েছে। ইমরান খান, মহসিন খান থেকে শুরু করে হালের শোয়েব মালিক পর্যন্ত তালিকা বেশ দীর্ঘ। তবে এখন গোটা নেটি দুনিয়ায় চর্চায় আছেন শোয়েব মালিকই।

ভারতের টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সঙ্গে শোয়েব মালিকের বিচ্ছেদ অনেক দিন থেকেই আলোচনায়। সেই আলোচনা অবশেষে নতুন রূপ নিয়েছে শোয়েব মালিকের তৃতীয়বার বিয়ের পিড়িতে বসার পর। নিজ দেশেরই তারকা অভিনেত্রী সানা জাভেদকে বিয়ে করেছেন শোয়েব মালিক।

২০১০ সালের ঘটনা। উপমহাদেশে রীতিমতো আলোচনার ঝড় তুলে বিয়ে করেন শোয়েব-সানিয়া। রাজকীয় সেই বিয়ের খুঁটিনাটি জানতে হামলে পড়েছিল ভারত-পাকিস্তান- দু’দেশের মিডিয়া। হবে নাই বা কেন, দুজন তখন খ্যাতির শীর্ষে, একজন টেনিসে আর অন্যজন ক্রিকেটে বিশ্ব মাতাচ্ছেন।

শোয়েব মালিক-সানিয়ার বিয়েতে চিরচেনা আত্মীয়তায় বাঁধা পড়ে পাকিস্তান-ভারত। তারপর কেটে গিয়েছে ১৩টি বছর। গঙ্গা-সিন্ধু-যমুনা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক স্রোত। অনেক উত্থান পতনের মধ্যে দিয়ে গড়িয়েছে পাক-ভারতের তারকা দম্পতির সম্পর্ক। অবশেষে, সেই সম্পর্কের ইতি হলো শোয়েবের বিয়ের মাধ্যমে।

২০১০ সালে শোয়েবের সঙ্গে বিয়ের আগে সানিয়া কার্যত বিয়ে সেরেই ফেলেছিলেন হায়দরাবাদেরই ব্যবসায়ী সোহরাব মির্জার সঙ্গে। বাগদানও হয়ে যায়। বিত্তবান সুপার বেকারির মালিকের সন্তানের সঙ্গে সানিয়ার বিয়ে যখন প্রায় পাকা, সেই সময়েই প্রবেশ করেন শোয়েব মালিক। অনেকটা ফিল্মি কায়দায়।

শোয়েব মালিক নিজেকে সে সময় অবিবাহিত দাবি করলেও জানা যায়, শোয়েব গোপনে বিয়ে করেছেন তার দেশেরই আয়েশা সিদ্দিকির সঙ্গে। যদিও তীব্র আপত্তিসহ সেবার শোয়েব গোটা ঘটনা নাকচ করেন। টিভিতে এসে আয়েশা ও তার বোন মাহাকে একহাত নিয়ে আলোচনার ঝড় তুলেছিলেন শোয়েব।

সানিয়া অবশ্য সবসময় সম্পর্কে অনুগত ছিলেন। সামাজিক মাধ্যমে শোয়েবের সঙ্গে গদগদে ছবিতে ভালবাসা ছড়িয়েছেন বহুবার। পরে মা হওয়ার পর সানিয়া আরও ঘরে মন দেন। টেনিসেও অনিয়মিত হয়ে পড়েন। গত বছর অবসর নেন আরও বেশি করে সংসারে ও শোয়েবের পাশে থাকার জন্য।

২০১৯ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডে গিয়ে বিতর্কই বাঁধিয়ে ফেলেন সানিয়া। ভারত-ম্যাচের আগের দিনে শোয়েবসহ একাধিক পাক ক্রিকেটারদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় তার ছবি ভাইরাল হয়। পাক ক্রিকেটারদের ফোকাস নষ্ট করার অভিযোগ উঠে গিয়েছিল সানিয়ার বিরুদ্ধে। তারপরও শোয়েবের হাত ছাড়েননি সানিয়া মির্জা।

গত বছর থেকেই সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। দুজনেই কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। এর মধ্যেই শোয়েবের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ ওঠে পাক অভিনেত্রী আয়েশা ওমরের সঙ্গে। দু’জনেই এক ফটোশুটে গিয়ে একসঙ্গে একাধিক ছবি তুলেছিলেন। অন্তরঙ্গ সেই ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়েছিলো নেট দুনিয়ায়।

আয়েশাকাণ্ডের মধ্যেই সানিয়া-শোয়েব নিজেদের টিভি শো শুরু করেন। দুবাই থেকে সম্প্রচারিত হয় মির্জা-মালিক শো। একের পর এক নামি সেলেবদের এই তারকা দম্পতি নিজেদের শোয়ে হাজির করেন। ৪০-র বেশি পর্ব সফলভাবে সম্প্রচারিত হয়।

সানিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যেই শোয়েব জড়িয়ে পড়েন পাকিস্তানের টিভি অভিনেত্রী সানা জাভেদের সঙ্গে। যিনি নিজেও ডিভোর্সি। ২০২০ সালে গায়ক উমর জাসওয়ালকে বিয়ে করে গত বছর নভেম্বরে ডিভোর্স দেন সানা। তার পেছনে নাকি শোয়েবের হাত ছিলো, তেমনটাই জানাচ্ছে মিডিয়া।

এরপর শোয়েবের সঙ্গে সানার সম্পর্কের গুঞ্জন তীব্র হয় গত বছর অভিনেত্রীর জন্মদিনে শোয়েব সরাসরি শুভেচ্ছা জানানোর মধ্য দিয়ে। নিজেদের ছবি পোস্ট করে শোয়েব সেই সময় লিখেছিলেন, হ্যাপি বার্থডে বাডি। ভাবা হয়েছিল হয়ত শুধুই জল্পনা। দু’জনের সম্পর্ক আগের মতই অটুট রয়েছে।

তবে কয়েক সপ্তাহ আগেই সানিয়া নিজের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শোয়েবকে মুছে দেন। এরপরেই জল্পনা তীব্র হয় সানিয়ার এক পোষ্টকে ঘিরে। তিনি লেখেন বিয়ে আসলেই কঠিন। এমনকি ডিভোর্স-ও। তবে কঠিনতম জিনিসই বাছাই করতে হবে। তার এমন কথায় স্পষ্ট হয় কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।