• রোববার , ৫ মে ২০২৪

শতকোটি লুটের সাজা ১১০ কোটি


প্রকাশিত: ১০:৪৪ পিএম, ২২ জানুয়ারী ২৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৬ বার

অর্থদন্ডের পরও সাজা যাবজ্জীবন মজিবুর রহমান মিলনের-

 

 

চট্টগ্রাম কোর্ট রিপোর্টার : চট্টগ্রামে স্ক্র্যাপ জাহাজ আমদানির নামে শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পরিবার নিয়ে গাঢাকা দেওয়ার অভিযোগে করা এক মামলায় মজিবুর রহমান মিলন নামের এক ব্যবসায়ীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন। আসামি পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী সানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, মজিবুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ৪২০ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে (মজিবুর রহমান) পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

দণ্ডিত মজিবুর রহমান মুহিব স্টিল অ্যান্ড রিসাইক্লিং ইন্ডাস্ট্রিজের স্বত্বাধিকারী। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভুয়ার দক্ষিণ আলীপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত বজলুর রহমান।

আদালত সূত্র জানায়, স্ত্র্যাপ জাহাজ আমদানির নামে অগ্রণী ব্যাংক, লালদিঘি করপোরেট শাখা থেকে কয়েক দফায় প্রায় অর্ধশত কোটিরও বেশি টাকা ঋণ নেন মজিবুর রহমান মিলন। ব্যাংকের পাওনা মোট ৯১ কোটি ৯২ লাখ ৮৪ হাজার ৩৯২ টাকা পরিশোধ না করে তিনি সপরিবারে আত্মগোপন করেন।

অভিযোগে পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা অনুসন্ধান করে গত ২০১৮ সালের ২৪ মে নগরের কোতোয়ালি থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন দুদক, চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাফর আহমদ। দুজন কর্মকর্তার বদল হয়ে সর্বশেষ এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হন দুদক, সমন্বিত চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।

তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর সিডিউলভুক্ত অপরাধ ৪০৯/৪২০ ধারায় আসামি মজিবুর রহমানকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ফখরুল ইসলাম। ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ। রাষ্ট্রপক্ষের মোট দশজনের সাক্ষ্য শেষে সোমবার (২২ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করেন বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ।