• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

`র‌্যাবকে বাঁচাতে কর্ণেল জিয়া নিজেই নূর হোসেনকে কলকাতায় পাঠিয়েছেন’


প্রকাশিত: ৭:৪৯ পিএম, ১২ মে ১৪ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার

বিশেষ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ,১২ মে, ২০১৪:   র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল জিয়াউল আহসান নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশেনর প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামসহ সাত খুনের ঘটনার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে কলকাতায় পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।নজরুলের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান আজ সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এই অভিযোগ করেন। শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সবার দাবির পরেও অভিযুক্ত র‌্যাবের তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এমনকি আদালতের নির্দেশের পরেও তারা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। তার মানে কি? র‌্যাব চেষ্টা করছে র‌্যাবকে বাঁচাতে।’
রোববার র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্ণেল জিয়াউল আহসানের একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয় একটি দৈনিকে। তাতে জিয়াউল আহসান দাবি করেন, সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন এখন কলকাতায় অবস্থান করছেন। ঘটনার তিনদিন পর তিনি ভারতে পালিয়ে গেছেন। তাঁকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই সব রহস্য উন্মোচিত হবে। এছাড়া নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ওই সাক্ষাতকারের পরিপ্রেক্ষিতে শহীদুল ইসলাম আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, ‘জিয়াউল আহসানই নূর হোসেনকে কলকাতায় পার করে দিয়েছে।’
এমন অভিযোগ কেন করছেন জানতে চাইলে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, সাত খুনের ঘটনার সঙ্গে র‌্যাবের কর্মকর্তারা যে জড়িত সেটি পরিস্কার হয়ে উঠছে। এখন  র‌্যাবকে বাঁচাতে জিয়াউল হাসান নিজেই নূর হোসেনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিয়েছেন। তারা সবাই মিলে র‌্যাবকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
গত ২৭ এপ্রিল দুপুরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহূত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। এর তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে ছয়জনের মরদেহ। পরদিন আরেকটি মরদেহ পাওয়া যায়। গত ৪ মে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া সাক্ষাতকারে শহীদ চেয়ারম্যান বলেন, ‘র‌্যাবের তিন কর্মকর্তা নূর হোসেনের কাছ থেকে ছয় কোটি টাকা নিয়ে এই খুন করেছে। তিনি বলেন, তাদের ব্যাংক হিসেব চেক করলেই সব বেরিয়ে আসবে।’ শহীদ চেয়ারম্যান এই ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন। এই অভিযোগের পরপরই তাদের তিনজনকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। গতকাল রোববার এই তিনজনকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।