• মঙ্গলবার , ৭ মে ২০২৪

রিজার্ভ চোর ধরতে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা ফরাসউদ্দিনকে


প্রকাশিত: ১১:২৩ পিএম, ২০ মার্চ ১৬ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩১ বার

বিশেষ প্রতিবেদক : ‘হ্যাকিংয়ের’ মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ডলার লোপাটের 1ঘটনায় তোলপাড়ের মধ্যে এই কমিটি গঠন করে অর্থ মন্ত্রণালয়।এই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউচার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কায়কোবাদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গকুল চাঁদ দাস।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা রোববার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের হেয়ার রোডের বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেন।সন্ধ্যায় সেখান থেকে বেরিয়ে ফরাসউদ্দিন অপেক্ষমান সাংবাদিকদের বলেন, “এটা একটা বড় কাজ, দেশের জন্য কাজ, দুরূহ কাজ, ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। এটা আজকে মাত্র সূচনা করলাম।

“দেশের স্বার্থে, তদন্তের স্বার্থে আগামী ৩০ দিন আপনাদের সাথে কথা বলব না। কোনো কথা বলা যাবে না এই জন্য যে, তাতে তদন্ত ব্যাহত হবে, ভিন্ন পথে যাবে।”অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ২০ মিনিটের আলোচনায় কমিটির কর্মপরিধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সাবেক এই গভর্নর বলেন, “আমাদের এই কমিটির টার্মস অব রেফারেন্সে আমরা সম্মত হয়েছি। আমরা বলেছি, আমরা করতে পারব।”

গত ১৫ মার্চ গঠিত এই কমিটির প্রজ্ঞাপনে কাজের ক্ষেত্র ও আওতা সম্পর্কে বলে দেওয়া হয়েছিল।বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অবৈধভাবে পেমেন্ট ইন্সট্রাকশন কীভাবে এবং কার বরাবর গেছে, কমিটিকে তা খতিয়ে বের করতে বলা হয়েছে।অবৈধ পরিশোধ ঠেকানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত পদক্ষেপের পর্যাপ্ততা ছিল কি না, বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের কাছে গোপন রাখার যৌক্তিকতা ছিল কি না, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্বে অবহেলা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখার দায়িত্ব এই কমিটির।

চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারের সম্ভাবনা এবং গৃহীত এবং অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে গৃহীত ব্যবস্থাও এই কমিটিকে দেখতে বলা হয়।আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে এবং সব প্রকার ভৌত সুবিধা এবং ব্যয়ভার বাংলাদেশ ব্যাংক বহন করবে।এই কমিটি কোথায় অফিস করবে-সাংবাদিকদের এ প্রশ্নে ফরাসউদ্দিন বলেন, “অফিস অর্থ মন্ত্রণালয়েও হবে, বাংলাদেশ ব্যাংকেও হবে।”

এই কমিটিকে এক মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদন এবং ৭৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।রিজার্ভ চুরির এই ঘটনায় মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ- সিআইডি। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের সহযোগিতা নিচ্ছে।সোসাইটি ফর ওয়ার্ল্ডওয়াইড ইন্টারব্যাংক ফাইন্যান্সিয়াল টেলিকমিউনিকেশনের (সুইফট) দুজন প্রতিনিধিও এনিয়ে তদন্ত চালাচ্ছেন ঢাকায়।

সুইফট হচ্ছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের মাধ্যম। সারা বিশ্বের কেন্দ্রীয় ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো এর সদস্য। এক দেশ থেকে আরেক দেশে সুইফটের মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর হয়ে থাকে।গত ৪ ফেব্রুয়ারি সুইফট মেসেজ পাঠিয়েই যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায় ১০ কোটি ডলার সরানো হয়।রিজার্ভ চুরির এই ঘটনাটি চেপে রেখে সমালোচনার মধ্যে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন গভর্নর আতিউর রহমান। গত সপ্তাহে তার পদত্যাগের পর দুজন ডেপুটি গভর্নর ও ব্যাংক সচিবকেও সরিয়ে দেয় সরকার।