• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

দুই আঙ্গুলে মোবাইল হাতিয়ে নেয় ‘ওরা’


প্রকাশিত: ৭:১৭ পিএম, ৬ মার্চ ২৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৭ বার

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি : দুই আঙ্গুলে মোবাইল হাতিয়ে নেয় ‘ওরা’ । ছিনতাই প্রক্রিয়ায় প্রথমে কোনো একজনকে চিহ্নিত করেন তাঁরা। তারপর যাত্রীবাহী বাস কিংবা কোলাহলপূর্ণ জায়গায় ওই ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে দলের কয়েকজন মিলে ধাক্কাধাক্কি করেন। এ সুযোগে নিশানা করা (টার্গেট) ব্যক্তির মুঠোফোনটি দুই আঙ্গুলের কৌশলী খেলায় ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আর এ কাজে সময় লাগে মাত্র পাঁচ সেকেন্ড। ছিনতাইকারী দলের নেতা মো. রুবেলকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশকে জেনেছে এই অভিনব কৌশল।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার রুবেল ও তাঁর এক সহযোগী শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাসে এক নারী যাত্রীর গলার চেইন ছিনতাইয়ের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ তাঁদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাঁদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া সোনার চেইনটি উদ্ধার করে পুলিশ।গত সোমবার নগরের কোতোয়ালি থানার নিউমার্কেট এলাকায় সমাপ্তি রানী প্রধান নামের এক নারীর গলার সেনার চেইন বাসের মধ্যে ছিনতাই হয়। এই ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে মামলা করেন থানায়।

কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান দৈনিক সত্যকথা প্রতিদিন কে বলেন, সোনার চেইন ছিনতাইয়ের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ ছিনতাইকারী চক্রটির সন্ধান পায়। গ্রেপ্তারের পর রুবেল স্বীকার করেন, নগরে যাত্রীবাহী বাস ও কোলাহলপূর্ণ এলাকায় জটলা পাকিয়ে মুঠোফোন ছিনতাই করে রুবেলের কয়েকটি দল। সারা দিন তাঁরা আড্ডা দেন আর ঘুমান। দিনে শুধু এক ঘণ্টা কাজ করেন। এই এক ঘণ্টায় প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫টি মুঠোফোন ছিনতাই করেন তাঁরা।

জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে রুবেল জানায়, একটি মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে সর্বোচ্চ পাঁচ সেকেন্ড লাগে তাঁর ও তাঁর দলের সদস্যদের। এমনকি জিনসের প্যান্টের পকেট থেকেও পাঁচ সেকেন্ডেই মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে পারেন তাঁরা। রুবেল পুলিশকে জানান, প্রথমে বাঁ হাতের দুই আঙুল দিয়ে মুঠোফোনটি ওপরের দিকে ধাক্কা দেওয়া হয়, এরপর ডান হাতের দুই আঙুল দিয়ে আস্তে করে নিয়ে ফেলা হয়।

এসআই মেহেদী হাসান বলেন, রুবেল ও তাঁর দলের সদস্যরা সাধারণত মুঠোফোন ছিনতাই করে থাকেন। কিন্তু বাসে ওই যাত্রীর কাছ থেকে কেন গলার চেইন ছিনতাই করেছেন প্রশ্নের উত্তরে রুবেল জানান, সেদিন তাঁদের দলের এক সদস্য সোনার চেইন দেখে লোভ সামলাতে পারেননি। তাই সেটি ছিনতাই করেছেন। গ্রেপ্তার রুবেলের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ২৯টি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। দুই মাস আগে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান। এসেই আবার জড়িয়ে পড়েন ছিনতাই কর্মে।