• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

রাবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আগুন বহু আহত


প্রকাশিত: ১২:০০ এএম, ১২ মার্চ ২৩ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫১ বার

রাবি প্রতিনিধি : রাবিতে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ আগুন বহু ছাত্র জনতা আহত হয়েছেন। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টায় বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বাস সুপারভাইজার ও স্থানীয়দের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের এই সংঘর্ষ শুরু হয়।তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘এ ঘটনায় দুই শতাধিক আহত হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালাচ্ছে। র‌্যাবও এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি।’

ক্যাম্পাসের বিনোদপুর গেটে দুই ঘণ্টা ধরে এই সংঘর্ষ চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর পুলিশ ফাঁড়িসহ কয়েকটি দোকানে আগুন দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মাথা, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত নিয়ে অন্তত ২৫ জন শিক্ষার্থী চিকিৎসাধীন। আরো আসছেন। গুরুতর আহত ১০ জন শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিনোদপুর গেটে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে ক্যাম্পাসের ভেতরে ইটপাটকেল ছুড়ছে কয়েক শ স্থানীয়। তাদের ছোড়া ইটে আহত হয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এর আগে বিনোদপুরে মেসে যাওয়ার পথে স্থানীয়দের আক্রমণের শিকার হন সাত-আটজন শিক্ষার্থী। এ সময় সাংবাদিকের ওপরও হামলা করে তারা।

ছাপচিত্র বিভাগের আহত শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, ‘আমি রাস্তার ওপরে ছিলাম। হঠাৎ স্থানীয়রা আমাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।’আরেক আহত শিক্ষার্থী বলেন, ‘মারামারির ঘটনা শুনে গেটের দিকে গেছিলাম, তখন বাহির থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে আমার মাথা কেটে যায়।’

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া থেকে মোহাম্মদ বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আলামিন আকাশ। বাসে সিটে বসাকে কেন্দ্র করে গাড়ির চালক শরিফুল ও সুপারভাইজার রিপনের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয় আকাশের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট গিয়ে আবারও কন্ডাক্টরের সঙ্গে ঝামেলা বাধে। তখন স্থানীয় এক দোকানদার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে উভয়র মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হন এবং স্থানীয় দোকানদারের ওপর চড়াও হন।

এক পর্যায়ে স্থানীয়রা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও পাল্টাধাওয়া করেন। এ সময় দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশ প্রতিদিনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ কয়েকজন সাংবাদিকের ওপর হামলা চালায় স্থানীয়রা।