• রোববার , ৫ মে ২০২৪

রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ক্ষমতার আকাংখা-রশাতলে যাচ্ছে তারুণ্য


প্রকাশিত: ৩:১০ এএম, ১ আগস্ট ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১২৩ বার

527376caf3e1dড.শহিদুল্ল্যাহ আজিজি.ঢাকা:  রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ক্ষমতার আকাংখা-রশাতলে যাচ্ছে তারুণ্য ।বাংলাদেশের তারুণ্য এক অসামান্য ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। আমাদের তরুণরা মায়ের ভাষাকে রক্ষা করেছে বিজাতীয় শোষকদের হাত থেকে। এই ঘটনায় সারা বিশ্বে তরুণ ভাষা শহীদরা অমর। শিক্ষাকে রক্ষা করেছে এই তরুণরা ষাটের দশকে বাষট্টির শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে। সিয়াটো-সেন্টো চুক্তির বিরুদ্ধে লড়েছে, সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে। ৬৯’র জানুয়ারিতে তরুণ আসাদ শহীদ হয়ে যে গণঅভ্যুত্থানের সূচনা ঘটিয়েছিলেন, তা ভাসিয়ে দিয়েছিল সামরিক-সিভিল স্বৈরাচারকে। তৈরী হয়ে গিয়েছিল একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট। মুক্তিযুদ্ধেও ছিল তারুণ্যের জয়-জয়কার, অস্ত্র হাতে এই তারুণ্যই নয় মাস যুদ্ধ করেছে প্রবল প্রতিপক্ষ পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে- স্বাধীন করেছে দেশ।

মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পরীক্ষিত টগবগে তারুণ্যের বিপথগামীতা ও অধঃপাতে যাত্রাটি শুরু হয় স্বাধীনতার পর থেকেই। পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত শেখ মুজিবর রহমান ও ভারত প্রত্যাগত আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে গঠিত স্বাধীন দেশের প্রথম সরকারটি মুৃক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চেতনা উপলব্দিতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তারা অনেক কিছুই বিবেচনা করছিলেন দলীয় দৃষ্টিকোন থেকে। ফলে মুক্তিযুদ্ধকে দলীয় সম্পত্তিতে পরিনত করার চেষ্টা ও ব্যক্তিকে সর্বোত্তম করে তোলার প্রচেষ্টায় ক্ষমতাসীনরা জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি উপেক্ষা করেছেন। মুখে মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক চেতনা হিসেবে রাজনৈতিক -অর্থনৈতিক মুক্তির কথা বলছিলেন বটে, কিন্তু বাস্তবে প্রয়োগ ছিল বিপরীত। অচিরেই মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সরকার একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করে মুক্তিযুদ্ধের মূলগত আকাক্সখায় কুঠারাঘাত হানে এবং রাষ্ট্রকে সামরিকীকরনের পথ উন্মুক্ত করে দেয়।

যে তরুণ চল্লিশের শেষে ও পঞ্চাশ দশকে ভাষা রক্ষার জন্য সংগ্রাম করেছে, ষাট দশক জুড়ে লড়াই করেছে সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে, অঙ্গীকারাবদ্ধ থেকেছে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায়, যাদের কাছে রাজনীতি ছিল আদর্শ, মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে অকাতরে, বর্তমান উৎসর্গ করেছে সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য- স্বাধীন দেশে সেই তারুণ্যই জড়িয়ে পড়ে অস্ত্র, খুনোখুনি ও নষ্টামির সাথে। এর মূল কারন ছিল রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতা। সেজন্যই পরবর্তীকালে তারা ব্যবহৃত হয়েছে রাজনৈতিক নষ্টামীসহ সকল অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। তারপরেও আশির দশকে এই তারণ্যই সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে নব্বই সালে আরেকটি মাইলফলক স্থাপন করেছিল। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের ক্ষমতার আকা·খায় পূণর্বার বলি হতে হয় তারুণ্যকে।

২০১৫ সালে এসে জনসংখ্যার কাঠামোগত জায়গায় বাংলাদেশ এগিয়েছে ঈর্ষণীয়ভাবে, অনেক দেশকে পেছনে ফেলে। এই দেশের জনসংখ্যার ৩০% এখন তরুণ। এদের বয়স ১০ থেকে ২৪ বছর। তরুণ কর্মযোগীদের সংখ্যাটিও চমকে দেবার মত, ৪ কোটি ৭৬ লাখ। জাতিসংঘ জনসংখ্যা প্রতিবেদন ২০১৪ জানাচ্ছে, তর“নদের সংখ্যাপুষ্ট দেশ আছে মাত্র ৬টি। ভারত, চীন, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান। তরুণ জনগোষ্ঠীর মানে যদি হয় কর্মশক্তি তাহলে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক অপার সম্ভাবনা নিয়ে। সুস্থিত, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক ও সামাজিক অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় এই অপার সম্ভাবনা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের মত বিপদগামী হবার আলামতগুলি কি দেখতে পান আমাদের শাসকরা, নীতি-নির্ধারকরা?

রাজনীতিবিদ, শাসকশ্রেনী এবং নীতি-নির্ধারকরা কি ভাবছেন অপার সম্ভাবনাময় এই তারুণ্যকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে? আমাদের জানা নেই। প্রতিবছর মেধাবী শিক্ষার্থীরা পাড়ি দিচ্ছে বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর উদ্দেশ্যে। গড়ে উঠছে বৈশ্বিক নাগরিক হিসেবে। উদ্ভাবনী শক্তিকে কাজে লাগিয়ে মেধার জোরে চমকিত করছে। মিডিওকার তরুনরা দেশের সীমানা ছাড়াচ্ছে, অমানবিক পরিশ্রমে দেশের রোমিট্যান্স বাড়াচ্ছে। বড় অবদান রাখছে জাতীয় রিজার্ভে। গণতন্ত্রহীন দেশে রাজনীতিবিমুখতা থাকলেও প্রবাসে দলীয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছে। হুজুগে মাতছে নাকি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রবাসী আকাক্সখা স্বপ্ন দেখছে, তা কি তারা নিজেরাও জানেন! এটি যদি হয় সম্ভাবনার দিক, অন্যপথে হাজার হাজার তরুণ যুক্ত হচ্ছে সন্ত্রাসবাদের সাথে। লাখ লাখ তরুণ মাদককে বেছে নিচ্ছে জীবন যাপনের একমাত্র পথ হিসেবে। মানব পাচারকারীদের কবলে পড়ে হাজার হাজার তরুণ ভাসছে সাগরে, ঠাঁই হয়েছে গণকবরে, কঙ্কালসার একদল ঘুরে মরছে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার গভীর অরণ্যে। প্রতিপক্ষকে বিনাশ করতে রাজনীতিবিদরা তরুণদের হাতে তুলে দিচ্ছে প্রানঘাতী অস্ত্র। কর্তৃত্ববাদীতা ও শক্তি প্রয়োগের শাসন জন্ম দিচ্ছে একরৈখিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা। মত প্রকাশে বাধা, স্বৈরশাসন উস্কে দিচ্ছে সন্ত্রাসবাদ। তারুণ্য আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়ছে বিনাশী যাত্রায়।

কি দাঁড়াচ্ছে তাহলে? একদিকে সম্ভাবনা অপার, অন্যদিকে পৃথিবী জুড়ে বদলাচ্ছে রাজনীতির ভাষা। মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিন এশিয়া জুড়ে চলছে তারুণ্য বিনাশের হোলি উৎসব! ইসলামিক ষ্টেট, বোকো হারাম, আল-কায়েদা, তালেবানের মত বহুজাতিক গোষ্ঠীর পাশাপাশি দেশের মধ্যে সক্রিয় রয়েছে জেএমবি, হুজি, হিযবুত তাহরীরসহ নাম না জানা আরো অনেক গোষ্ঠী। এদের সকলের টার্গেট তর“ণ ও কিশোররা। ১০ হাজারেরও বেশি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে ২০১৩ সালে। নিহত হয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ। ২০১২ সালের তুলনায় তা ৪৪% বেশি। ২০১৪ সালে ৯৫ টি রাষ্ট্রে ১৩ হাজার ৪৬৩ টি হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলা পরিচালনায় শীর্ষে রয়েছে আইএস এবং পরের স্থানগুলি ধারাবাহিকভাবে তালেবান ও বোকো হারামের।

পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, বিশ্বজুড়েই সস্ত্রাসবাদ বাড়ছে। ভৌগলিক সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, আন্তর্জাতিক আদল পাচ্ছে। এর বড় অংশ জুড়ে রয়েছে তরুণ জনগোষ্ঠী। অকাতরে প্রাণ নিচ্ছে, প্রাণ দিচ্ছে। যে রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক দখলদারিত্ব কায়েম করেছে একটি একরৈখিক বিশ্ব কাঠামো, তার প্রচণ্ড প্রভাব বিস্তৃত হচ্ছে তরুণদের মনোজগতে। একদিকে আইএস, তালেবান, বোকো হারাম-বিপরীতে মার্কিনীদের ড্রোন হামলাসহ বিভিন্ন দেশের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধ, ফিলিস্তিনীদের বিরুদ্ধে ইসরাইলী নৃশংসতা, সব মিলিয়ে তরুণদের অবস্থান কি হবে? ফলে এখন এই দেশেরও অপার সম্ভাবনাময় তারুণ্য জড়িয়ে পড়ছে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ আর চরমপন্থার সাথে। সবচেয়ে ভীতিকর ব্যাপারটি হচ্ছে, আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত কিংবা উচ্চ শিক্ষিতদের সাথে জড়িত তরুণরাও যুক্ত হয়ে পড়ছে চরমপন্থায়।

বাংলাদেশ এখন নানা ফর্মে সন্ত্রাসবাদের কবলে। এর চেহারায় ধরনে রকমফের আছে। কখনও ধর্মীয় চরমপন্থার নামে, সমাজ বদলের নামে, কখনও রাষ্ট্রীয় নিপীড়ন-অনাচার ও দুঃশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে মাথাচাড়া দিচ্ছে সন্ত্রাস। আবার ক্ষমতাসীনদের মদতপুষ্ট গডফাদাররা স্রেফ আর্থিক সাম্রাজ্য ও এলাকা দখলে রাখতে গড়ে তুলছে সশস্ত্র ক্যাডার বাহিনী। রাজনীতির ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এইসব বাহিনী পৃষ্ঠপোষকতা পাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের। এদের সকলের টার্গেট তরুণ জনগোষ্ঠী। এসব প্রক্রিয়ায় সন্ত্রাসবাদে যুক্ত হচ্ছে তরুণরা। আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক অন্যায্যতা-অবিচারের বিরুদ্ধে তারা সন্ত্রাসবাদকে শ্রেয়তর মনে করছে। এই তরুণদের বড় একটি অংশ আসছে দারিদ্র্যর মধ্যে বেড়ে ওঠা সামাজিক পরিবেশ থেকে। কারো আগমন ঘটছে স্বচ্ছল-শিক্ষিত পরিবার থেকে। রাজনীতি, ধর্মীয় উগ্রবাদ এদর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহী করে তুলছে।

গ্লোবাল টেরোরিজম ইনডে·-২০১৪ এর তালিকায় সন্ত্রাসবাদের ভিকটিম হিসেবে বাংলাদেশের নাম উঠে এসেছে এবং তাদের মতে যে ১৩টি দেশে সন্ত্রাসবাদের দ্রুততম বিকাশ ঘটতে পারে তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। সূচকে বৈশ্বিক তালিকায় এই দেশের অবস্থান ২৩ তম। সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকিতে রয়েছে প্রতিবেশী মিয়ানমার ও শ্রীলঙ্কা, আর শীর্ষ সূচকে রয়েছে আফগানিস্তান ,পাকিস্তান ও ভারত। সীমানা ছাড়াচ্ছে সন্ত্রাসবাদ, মানছে না কোন ভৌগলিক সীমানা। এজন্য এই দেশ রয়েছে সবচেয়ে বড় ঝুঁকিতে, রয়েছে তর“ণরাও। চলমান রাজনৈতিক ও সামাজিক কার্যকারন সবচেয়ে বড় প্রণোদনা হয়ে উঠতে পারে সন্ত্রাসবাদের। কারন শক্তির মাধ্যমে শাšি— প্রতিষ্ঠার নীতি নিয়ে এই দেশে চলছে কর্তৃত্ববাদী শাসন। ইনস্টিটিউট অব ইকোনোমি· এন্ড পিস সন্ত্রাসবাদের যে সব কারন উল্লেখ করেছে তা হচ্ছে; বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নারীর রাজনৈতিক অধিকারের অভাব, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যের অভাব।

স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেই বাংলাদেশের তারুণ্য হয়ে পড়েছিল হতাশাগ্রস্থ ও বিপথগামী। প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির বৈপরীত্য এবং সদ্য স্বাধীনতা প্রাপ্ত দেশে দেশ গঠনে কোন ভূমিকা না থাকায় তারা হতাশার গহবরে নিমজ্জিত হয়। ফলে অচিরেই তারা জড়িয়ে পড়েছিল হাইজ্যাক, ডাকাতি, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসসহ নানা বিনাশী কর্মকাণ্ডে। রাজনৈতিক দলের অ্স্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে তর“ণরা ব্যবহৃত হচ্ছিল প্রতিপক্ষ বিনাশে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর হাতে প্রাণ দিচ্ছিল অকাতরে। ৭২ ও ৭৩ সালে অনেক তর“ণ হাইজ্যাকার সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হয়েছিল উন্মক্ত জনতার প্রতিহিংসায়। পরবর্তীকালে সামরিক সরকারগুলো তর“ণদের নষ্ট-ভ্রষ্ট সময়ের হাত ধরিয়ে দেয়। আশির দশকে সন্ত্রাসী হিসেবে তারকা খ্যাতি অর্জন করা অভি-নীর“র মত মেধাবী তর“ণরা হারিয়ে যায় নষ্ট সময়ের হাত ধরে।

চলতি শতকের দেড় দশক পাড় হওয়ার পরে অবস্থার কি তেমন কোন পরিবর্তন ঘটেছে? বাংলাদেশে এখন চলছে সামাজিক-রাজনৈতিক খুনোখুনি। সাথে যুক্ত হয়েছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড আর গুম-অপহরণ। সরকারী দল ও ছাত্র সংগঠন নিজেদের মধ্যেই খুনোখুনি করছে। সকল ঘটনার শিকার হচ্ছে তর“ণ জনগোষ্ঠী। ফলে তারা এখন দাঁড়িয়ে গেছে সম্ভাবনা-শঙ্কার ক্রসরোডে। ২০১২ সালের শেষে কয়েকজন ব্লগার তরুণ শাহবাগ চত্বরে জড়ো হয়ে অমিত সম্ভাবনার সৃষ্টি করেছিল। যার ঢেউ আছড়ে পড়েছিল দেশে-বিদেশে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে তর“ণদের সৃষ্ট গণজাগরন মঞ্চে সামিল হয়েছিল জনতার ঢল। রাজনীতির কূটিল খেলা এবং ধর্ম ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত অচিরেই এই মঞ্চ মুক্তমত প্রকাশের ধারাটি হারিয়ে ফেলে, প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায় এবং সহসাই অন্তরালে চলে যায়।

২০১৫ সালে এসে অল্পস্বল্প গণতন্ত্র, সুশাসন বিশেষত আইনের শাসনের অভাব ও বিচারহীনতার সংস্কৃতিসহ নির্বাচন ব্যবস্থার একমুখীনতা গড়ে তোলা হয়েছে রাষ্ট্রে। দশকের পর দশক ধরে ব্যক্তির ইচ্ছাকে প্রধান্য দিতে গিয়ে রাষ্ট্র, সরকার ও সমাজে গণতন্ত্র চর্চার বিষয়টি কেন্দ্র্রীভূত হয়ে গেছে। এর অনিবার্যতায় ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদ বিস্তুত হচ্ছে এবং তর“ণরা যুক্ত হয়ে পড়ছে। এই সন্ত্রাস ভৌগলিক সীমানা ছাড়ানোর কারনে বিদেশীদের নাক গলানোর সুযোগ করে দিয়েছে। অর্থনীতিতে সৃষ্ট চাপ উদ্বুদ্ধ করছে অভ্যš—রীন নিরাপত্তা জোরদারকরনের নামে বিপুল অর্থ ব্যয় এবং বিদেশ নির্ভরতার দিকে এবং সরকার সেদিকেই যাচ্ছে। সন্ত্রাসবাদ থেকে সৃষ্ট ভয়ের সংস্কৃতি স্থায়ীকরনে নাকি ভয় তাড়াতে রাষ্ট্র এই প্রবণতার দিকে ঝুঁকছে? যাই ঘটুক, এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে তর“ণ জনগোষ্ঠীর ওপর, সম্ভাবনা পরিনত হবে শঙ্কায় – সেটিই কি বাংলাদেশের আগামী ভবিতব্য?