• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

রশিদ ঝড়ে সাকিবরা বেড়াল বনলো?


প্রকাশিত: ৪:০১ এএম, ৬ জুন ১৮ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৬৮ বার

 
আর এইচ মানব   :   ফের রশিদ ঝড়! এই রশিদ ঝড়ে সাকিবরা এবার টাইগার থেকে বেড়াল হয়ে গেলো কেনো? Rashied-www.jatirkhantha.com.bdএনিয়ে চলছে নানা আলোচনা। বলা হচ্ছে, একেবারে ছ্যাড়াবেড়া অবস্থা সাকিব আল হাসানসহ পুরো টাইগারদের। অবস্থা দৃষ্ঠে খেলা দেখে টাইগার ভক্ত দর্শকরা অভিযোগ করলেন, এযেনো সাকিবরা টাইগার থেকে বেড়াল বনে গেলো।

প্রথম ম্যাচে লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে স্বল্প পুঁজি নিয়েও শুরুতে লড়াইয়ের আভাস দিলেন বোলাররা। তবে এদিনও হার এড়ানো গেল না আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানদের দাপটে। ৬ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই টি-টুয়েন্টি সিরিজ বগলদাবা করল তারা।

প্রথম ম্যাচে সাকিব আল হাসানের দল হেরেছিল ৪৫ রানে। বৃহস্পতিবার একই মাঠে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোর লড়াইয়ে নামতে হবে সাকিব-তামিমদের।টাইগার ব্যাটসম্যানরা এনে দিতে পারেননি লড়াকু পুঁজি। ১৩৪ রান নিয়ে ম্যাচ জিততে বোলারদের করতে হতো অসাধারণ কিছু।

নাজমুল ইসলাম অপু নিজের প্রথম দুই ওভার মেডেন নিয়ে আশা জাগান আফগানদের চেপে ধরার। অপর প্রান্ত থেকে নির্বিষ থাকলেন দলের সেরা বোলার সাকিব আল হাসান। সবচেয়ে খরুচেও থাকলেন অধিনায়ক। ৪ ওভারে দিলেন ৩৭ রান। পেলেন না কোনো উইকেট।

শেষের দিকে ধুন্ধুমার ব্যাটিং করে ৭ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে নিয়ে আফগানিস্তান।সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ৪১ বলে ৪৯ করে আউট হওয়ার পর ম্যাচে ফেরার আশা জাগলেও মোহাম্মদ নবীর ১৫ বলে ৩১ রানের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে রয়ে যায় এক ওভারেও বেশি।শুরুর ১০ ওভার আফগানদের রানের চাকা আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। তারা করতে পারে এক উইকেট হারিয়ে ৫৬ রান। একই সময়ে সাকিবদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৫।

আফগান ইনিংসের প্রথম সাফল্যটি পান আবুল হাসান রাজুর জায়গায় একাদশে ফেরা আবু হায়দার রনি। এ বাঁহাতি পেসার ফেরান ভয়ঙ্কর হতে থাকা মোহাম্মদ শাহজাদকে।এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে এই ডানহাতি করেন ১৮ বলে ২৪ রান। চারটি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি থামে দলীয় ৩৮ রানে। তবে পরের ব্যাটসম্যানরা হাল ধরে দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে।

মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত দুটি, রুবেল হোসেন ও আবু হায়দার নেন একটি করে উইকেট। আফগানদের অপর ব্যাটসম্যান হন রান আউট।এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ৪৩ ও মুশফিকুর রহিমের ২২ ছাড়া বলার মতো সংগ্রহ কেবল পেসার আবু হায়দার রনির ২১, ২ ছয় ও এক চারে ১৪ বলের অপরাজিত ইনিংস তার।

শুরুতেই লিটনকে হারায় বাংলাদেশ। পরে সাব্বিরের উইকেট হারালেও রানের গতি সচল রাখেন তামিম-মুশফিক। একসময় বড় সংগ্রহেরই আভাস মিলছিল। রশিদ ঝড়ে যা এলোমেলো।তামিমের সঙ্গে ওপেন করতে আসেন লিটন। বেশিক্ষণ টেকেননি। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে সাজঘরে ফেরেন। শাপুর জাদরানের বলে হুক করতে যেয়ে। এক রানের মাথায় বাউন্ডারির কাছে রশিদের ক্যাচ হন তিনি।

ক্রিজে এসে দেখেশুনে পথ চলতে থাকেন সাব্বির। তিন চারে ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু ৯ বলে ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। নবীর বলে সেনওয়ারির তালুবন্দী হন।এরপরই সম্ভাবনা জাগানো এক জুটি। সেটিও অবশ্য ফিফটি পেরোয়নি। তামিমের সঙ্গে ৪৫ রান যোগ করে ফেরেন মুশফিক। নবীর বলে স্টাম্পড হন ১৮ বলে ২২ করে, ইনিংসে একটি করে ছয়-চারের মার।

বিশাল ছক্কায় শুরু করা মাহমুদউল্লাহ ফেরেন ৮ বলে ১৪ রানে। মেরেছেন একটি করা চার-ছক্কা। জানাতের স্লোয়ার বুঝতে না পেরে বোল্ড হন।তমিম তখনও ছিলেন। দরকার ছিল সঙ্গীর। তবে তাকে রেখে দ্রুতই ফিরে যান অধিনায়ক সাকিব। ৭ বলে ৩ করে রশিদের বলে নাজিবুল্লাহকে ক্যাচ দেন। রশিদ ১৬তম ওভারে আরও বড় সর্বনাশ করেন। ফেরান তামিম ও মোসাদ্দেককে।

পাঁচ চারে ৪৮ বলে ৪৩ করা তামিম বোল্ড হন। আর মুখোমুখি প্রথম বলেই এলবি মোসাদ্দেক। রানের খাতাই খুলতে পারেননি এ ডানহাতি। শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান সৌম্যর অবদান সেখানে ৯ বলে ৩। হন্তারক সেই রশিদই।আফগান লেগস্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা।

মোহাম্মদ নবী সমান ওভারে দুই উইকেট নিতে দিয়েছেন কেবল ১৯ রান। আরেক স্পিনার মুজিব উর রহমান কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ১৫ রান। করিম জানাত সমান ওভারে এক উইকেট নিতে দিয়েছেন ৪০।