• শুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪

মামলাবাজ বিএনপি-যেভাবে ফাঁসিয়েছিল মেয়র আ জ ম নাসির উদ্দিন কে-


প্রকাশিত: ৪:০২ এএম, ২৯ মে ১৫ , শুক্রবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২৩৯ বার

nasir...................এস রহমান.ঢাকা:  আ জ ম নাছির উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুই দশক আগে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলার বাদী আদালতকে বলেছেন, তৎকালীন বিএনপি সরকারের চাপে এ কাজ করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. নূরুল হুদার আদালতে মামলার বাদী নগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীকে পুনরায় জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। জেরার জবাবে এ কথা বলেন বাদী।
আদালত সূত্র জানায়, গতকাল জেরা করা হয় মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মঈন উদ্দিন ও রবিউল হক, পুলিশ সদস্য আবদুল মজিদ ও আতিকুর রহমানকে। আইনজীবীদের জেরার জবাবে তাঁরা বলেছেন, সেদিন ঘটনাস্থলে আসামিদের দেখেননি তাঁরা।
এই মামলার আসামি আ জ ম নাছির উদ্দিন গত ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করছেন। মামলার অন্য আসামিদের মধ্যে ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীও রয়েছেন। মেয়র নাছির ও সাংসদ নিজাম হাজারী গতকাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৩ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি মাঠে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় তৎকালীন নগর ছাত্রলীগের নেতা সুফিয়ান সিদ্দিকীর ওপর অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা হয়। এ ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুফিয়ান সিদ্দিকী কোতোয়ালি থানায় নাছিরসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বাদীর দেওয়া বক্তব্যের বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী দাবি করেন, তৎকালীন বিএনপি সরকার কাউকে চাপে ফেলে মামলা দায়ের করেনি।
১৯৯৪ সালে এই মামলায় আসামিরা হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নেন। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ তা প্রত্যাহার হয়। একই সঙ্গে আট সাক্ষীকে জেরা শেষ করে ছয় মাসের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। আদেশটি গত মার্চ মাসে চট্টগ্রাম আদালতে এসে পৌঁছায়। এ মামলায় গত ১ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে জামিন নেন মেয়র নাছির। আর ৬ এপ্রিল মামলার বাদীকে আংশিক জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। ৪ মে শুনানির দিন ধার্য থাকলেও বাদী হাজির না হওয়ায় শুনানি হয়নি।
আ জ ম নাছিরের আইনজীবী চন্দন বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতে মেয়র নাছিরসহ আসামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাটি করা হয়েছিল। ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে জেরাকালে বাদীসহ পাঁচ সাক্ষী ঘটনাস্থলে আসামিদের দেখেননি জানিয়েছেন।

ঘটনার সময় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। তৎকালীন বিএনপি সরকারের চাপে বাদী মামলাটি করতে বাধ্য হয়েছিলেন বলে জেরাকালে আদালতকে জানিয়েছেন। এজাহারে ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে লালদীঘি মাঠের পাশে পেট্রলপাম্প এলাকায়। আর পুলিশ সদস্য দায়িত্বে ছিলেন লালদীঘি মাঠের ওপর ডিবির পাহাড়ে।
নিজাম হাজারীর আইনজীবী অনুপম চক্রবর্তী জানান, জেরাকালে বাদীসহ পাঁচ সাক্ষী আদালতকে বলেছেন ঘটনার দিন লালদীঘি মাঠে হাজার হাজার মানুষ ছিল। সমাবেশটি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। এত লোকের মাঝে ঘটনাস্থলে আসামিদের কাউকে তাঁরা দেখেননি। বাদী নিজেও আদালতকে জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে আসামিরা ছিলেন না। মামলার এজাহার তিনি লেখেননি, পড়েও দেখেননি।
চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মো. আবুল হাশেম জানান, আদালত আগামী ৮ জুন পরবর্তী জেরার দিন ধার্য রাখেন।