• মঙ্গলবার , ৩০ এপ্রিল ২০২৪

সেলিব্রিটা’ মদে মাতঙ্গিনী


প্রকাশিত: ১০:৪৩ পিএম, ১৭ এপ্রিল ২৪ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২১ বার


গুলশানে নারীদের মদ্যপানে তোলপাড় রাজধানী-

 

লাবণ্য চৌধুরী : রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে প্রকাশ্যে রাস্তায় যে নারীরা মারামারি করেছিলেন তারা সবাই মদ্যপান করেছিলেন। অতিরিক্ত মদপান করায় মাতাল হয়ে এমন কাণ্ড ঘটান। তাদের কারও মদপানের লাইসেন্স ছিল না। একই সঙ্গে ‘সেলিব্রিটা বার’ ওই নারীদের কাছে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করে। ঘটনার পর মারধরের শিকার এক নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

ডিবি বলছে, মারামারির ঘটনায় গ্রেফতার নারীদের মদপানের লাইসেন্স ছিল না। তারা অবৈধভাবে অতিরিক্ত মদপান করে মাতাল হয়ে মারামারিতে জড়ান। এছাড়া ‘সেলিব্রিটা বার’ নারীদের কাছে অবৈধভাবে মদ বিক্রি করায় তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবে গোয়েন্দা পুলিশ।হারুন অর রশীদ বলেন, আমরা এই নগরে বাস করতে গেলে কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়। মদ খাওয়ার জন্য কোনো পুরুষ বা নারীর লাইসেন্স থাকলে, তাহলে তারা বৈধ বার থেকে মদপান করতে পারেন। এতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

‘কিন্তু পহেলা বৈশাখের রাতে গুলশানের মতো একটি এলাকা, যেখানে অভিজাত পরিবারের বসবাস। সেখানে ওই নারীরা মদপান করেন। কারও কোনো লাইসেন্স ছিল না। লাইসেন্সহীন কারও কাছে মদ বিক্রি করতে পারে না বার কর্তৃপক্ষ। তাদের উচিত ছিল এসব নারীর লাইসেন্স পরীক্ষা করা। এমনকি ওই নারীদের কাছে অতিরিক্ত পরিমাণে মদ বিক্রি করেছে ওই বার, যা পান করে মাতাল, বেসামাল হন তারা।’

হারুন বলেন, ঘটনার সময় বারের লোকজনের উচিত ছিল এসব বেসামাল নারীকে নিয়ন্ত্রণ করা। এই নারীরা বার থেকে বের হয়ে রাস্তায় গিয়ে প্রকাশ্যে মারামারিতে জড়ালেন, যা গুলশানের বাসিন্দারা দেখলেন। ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দিলেন।

গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান আরও বলেন, আমি মনে করি আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ এই ভিডিও দেখে ভাববে শহরের রাস্তায় নারীরা মাতলামি করবে, মারামারি করবে, এটা কোনো অভিভাবকই মেনে নিতে পারবেন না। এ নারীরা কারও না কারও সন্তান। তাদের অভিভাবকদের উচিত মেয়েরা কোথায় যায়, কি করে সেদিকে খেয়াল রাখা।

আজ এই নারীরা বারে গিয়ে মদপান করে এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন। যে মেয়েকে তারা মেরেছে সেই মেয়েও মাতাল ছিলেন।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী অভিযোগ করেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। যে বারগুলো লাইসেন্স ছাড়া মদ বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ডিবিপ্রধান।

ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমি ও আমার এক বন্ধু মিলে খাবার খেতে ওই রেস্তোরাঁয় যাই। খাওয়ার এক পর্যায়ে টয়লেটে যাওয়ার জন্য গিয়ে দেখি চারজন মেয়ে এক সঙ্গে টয়লেটে প্রবেশ করেছেন। বিষয়টি রেস্তোরাঁ ম্যানেজারকে বলি। তারা মেয়েদের বের করে দেয়। পরে আমি রেস্তোরাঁ থেকে বের হওয়ার সময় তারা আমার ওপর হামলা করে।

‘এসময় আমাকে চড়-থাপ্পড় দিতে পারতো। কিন্তু রাস্তার মধ্যে আমার কাপড় খুলে ফেলে। আমাকে মারধর করে। আমি তাদের সঠিক বিচার চাই। কারণ রাস্তায় একজন মেয়ে হয়ে আরেকজন মেয়ের কাপড় খুলে ফেলতে পারে না।’ এর আগে গুলশান-২ নম্বরের ক্যাফে সেলিব্রিটা বারের সামনে ওই নারীরা মারামারি করেন।