• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

‘ঝুটের ওস্তাদ মন্ত্রী’-আমলনামা তুলে ধরে বিষোধগার জাহাঙ্গীরের


প্রকাশিত: ১১:৩৮ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৭ বার

 


স্টাফ রিপোর্টার : ১৫ বছর ধরে শাসনের নামে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গাজীপুরকে শোষণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে ভেঙে টুকরা টুকরা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। এই গাজীপুরকে ধ্বংস করার জন্য আপনি ৫২ বছর ধরে এখানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে গাজীপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম রাসেলের নির্বাচনী সভায় এ মন্তব্য করেন জাহাঙ্গীর আলম। গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিম কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আ ক ম মোজাম্মেল হক কালিয়াকৈরে ৫ বছরের এমপি ও ১০ বছরের মন্ত্রী। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, যাকে আমরা মন্ত্রী বানিয়েছি, পার্লামেন্টে (সংসদে) পাঠিয়েছি, যাকে আমরা সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে এলাকার মানুষের শাসনের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। দীর্ঘ ১৫ বছর শাসনের নামে মানুষকে শোষণ করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তার (মোজাম্মেল হক) দায়িত্ব হচ্ছে এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে থাকা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমাদের মন্ত্রীকে দেখলাম, প্রতি এলাকায় দু–তিনজন করে মানুষ সেটেল করছেন, এখানে কিছু ফ্যাক্টরি আছে, কিছু ঝুট আছে, এই ঝুটগুলো খাওয়ার জন্য মন্ত্রী প্রতিটি এলাকায় দুই–চারজন লোক বের করে শাসনব্যবস্থা চালাচ্ছেন।’

গাজীপুর জেলায় দলীয় কার্যালয় করতে না পারার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোজাম্মেল হককে দায়ী করে জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘তিনি ৫২ বছর ৫৪ বছর একটা দল করলেন, অথচ জেলা আওয়ামী লীগের কোনো অফিস করেননি। আওয়ামী লীগকে তিন-চারটা ভাগ করে দলকে বিভক্ত করে রেখেছেন। তিনি গাজীপুর গিয়ে বলেন, “আমি কালিয়াকৈরে উন্নয়ন করে ভাসিয়ে ফেলেছি”, কালিয়াকৈর এসে বলেন, “কোনাবাড়ী-কাশিমপুরকে আমি উন্নয়নের ভাসিয়ে ফেলেছি।” তবে তিনি কোনাবাড়ী–কাশিমপুর এলাকায় কাজ করেছেন। কী করেছেন? কয়েকজন মানুষকে ফ্যাক্টরি দখল করা ও ঝুটের ব্যবসা দিয়েছেন। এই একটা কাজ তিনি সফলতার সঙ্গে করেছেন। তার নিজের কাজ হলে অন্যকে তিনি আর চেনেন না।’

পরে এলাকার উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী রেজাউল করিমকে ভোট দিলে আগামী ২০ বছর নেতৃত্ব পাবেন, যিনি মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করবেন। আর ৮০ বছরের বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষকে ভোট দিলে ঝুটের টাকাটি ভাগ করে খেতে পারবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওহাব মিয়া, মধ্যপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, গাজীপুর জেলা পরিষদের সদস্য আমিনুল ইসলাম, কালিয়াকৈর উপজেলা আওয়ামী লীগের কোষাধক্ষ্য এমদাদ হোসেন প্রমুখ।