• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

তারেককে ধরে এনে শাস্তি দেব


প্রকাশিত: ১১:৪১ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২৩ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ২০ বার


ওই লম্পটের নির্দেশে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দিচ্ছে প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর?

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি/ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আল্লাহ যদি দিন দেয় আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে- ওই তারেক লন্ডনে বসে হুকুম দেবে আর দেশের মানুষের ক্ষতি করবে, দেশের মানুষ মারবে সেটা হতে পারে না। দরকার হলে ওটাকে ওখান থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে, ধরে এনে শাস্তি দেব। নির্বাচনে জয়ী হলে তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার দুপুরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা সদরের সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় এ কথা বলেন তিনি।এসময় শেখ হাসিনা বলেন, সাত জানুয়ারি নির্বাচন বানচাল করার জন্য বিদেশিরাও কাজ করছে। নির্বাচনের মাধ্যমে সকল ষড়যন্ত্রের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। ভোট দেয়ার মাধ্যমে বিশ্বকে সুষ্ঠু নির্বাচনে দেখিয়ে দেয়ারও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তারেকের মতো লম্পটের নির্দেশে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দিচ্ছে?- এমন প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, মানুষ খুন করাই তাদের রাজনীতি। টাকা লুটপাট করে বিদেশে বসে মানুষ খুন করার নির্দেশ দিচ্ছে। বিএনপি দেশের উন্নয়ন করতে জানে না তারা শুধু মানুষ পোড়াতে জানে, তাদের কোনো মনুষ্যত্ব নেই। শেখ হাসিনা বলেন, আল্লাহ যদি দিন দেয় আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে- ওই লন্ডনে বসে হুকুম দেবে আর দেশের মানুষের ক্ষতি করবে, দেশের মানুষ মারবে সেটা হতে পারে না। দরকার হলে ওটাকে ওখান থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে, ধরে এনে শাস্তি দেব।সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি উন্নয়নের কথা বলতে চাই না। যেটা হয়েছে সেটা আপনারা নিজেরাই জানেন। দেশটা বদলে গেছে এখন। আমি চাই আমাদের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখবে। তারা দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে উঠবে। আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ করবো।

এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে মঞ্চে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হাতে জাতীয় পতাকা নেড়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান তারা। শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় তার জনসভাস্থলে মানুষের ঢল নামে। নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সকাল সোয়া ৯টার দিকে জনসভাস্থল কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে যায়।টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গঠিত গোপালগঞ্জ-৩ আসনে শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ আসনে তার নির্বাচনী সভা হলো ১০ বছর পর।শুক্রবার বরিশালের জনসভা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সড়কপথে বরিশাল থেকে টুঙ্গিপাড়া আসেন। রাতে নিজ বাসভবনে অবস্থান করেন তিনি।

জনসভা দু’টির নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে।এই আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮৬ সাল থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া আসন থেকে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা এর আগে ১৯৯৬ সালেও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে টানা চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে তার। ১৯৮১ সালে থেকে প্রায় ৪২ বছর ধরে দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা।বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করলে তিনি দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার বিজয়ী হলে ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নেন তিনি। গোপালগঞ্জের জনসভা শেষে ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে ভোটের প্রচারণায় যোগ দেন শেখ হাসিনা। সেখানে কালকিনিতে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে জনসভায় তিনি বক্তব্য রাখেন।