• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

মশা কামড়ালেও সরকারের দোষ: প্রধানমন্ত্রী


প্রকাশিত: ৭:৩৩ পিএম, ১০ জুলাই ২৩ , সোমবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৫৯ বার

বিশেষ প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ডেঙ্গু বিষয়ে সচেতনতা বেশি দরকার। ঘরবাড়িতে মশা যেন না থাকে সেদিকে বেশি দৃষ্টি দিতে হবে। আমাদের দেশে একটা সমস্যা হচ্ছে, যা কিছু দোষ সব সরকারের। মশা কামড় দিলেও সেটা সরকারের দোষ। মশার প্রজনন যাতে না হয় সেজন্য নিজের বাড়িঘর সাফ রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ৭৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। অ্যালামনাই ট্রাস্ট কলেজের শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার তো সবার বাড়ি সাফ করে দিয়ে আসতে পারবে না। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা যার যার নিজের ব্যাপার। নিজেকেই সচেতন করতে হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরের মেয়র সাহেব বললেন- এত বড়লোক বিশাল বিশাল ফ্ল্যাটে থাকে, তাদের বাড়ির ভেতরে মশার প্রজননক্ষেত্র তৈরি হয়ে আছে। সেটা তারা সাফ করবেন না, সরকারকে বোধ হয় সাফ করে দিয়ে আসতে হবে। বাড়ি তাদের, জায়গা তাদের, ম্যান্টেনেন্সের জন্য একটা সার্ভিস চার্জ দিচ্ছে। কিন্তু তারা সেটা সাফ করবেন না, কে করে দিবে? সরকার যেয়ে করে দিবে? সরকার তো সবার ঘরবাড়ি যেয়ে যেয়ে সাফ করে দিয়ের আসতে পারবে না। স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা যার যার নিজের ব্যাপার।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গবেষণায় মনোযোগ দিতে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার খুব অভাব, হাতেগোনা কয়েকজন গবেষণা করেন। চিকিৎসকদের প্রতি অনুরোধ, আপনারা একটু গবেষণার দিকে মনোযোগ দেন। গবেষণার জন্য যত টাকা লাগে আমরা দেব, তারপরও আপনাদের প্রতি অনুরোধ গবেষণা করেন।তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের ঘরে বসে না থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের অনুসরণ করা উচিত।

তারা কিভাবে কাজ করে তা দেখেও অনেক কিছু শেখার আছে। শেখ হাসিনা বলেন, স্বাস্থ্য মানুষের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। জাতির পিতার সংবিধানেও স্বাস্থ্যের অধিকার গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি চেয়েছিলেন, দেশের প্রত্যেকটা মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হোক। এটাকে রাষ্ট্রের অন্যতম কর্তব্য হিসেবেও উল্লেখ করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য যুদ্ধাহত মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন এ দেশের চিকিৎসকরা। তিনি বলেন, ঢামেক থেকে যাতে ৪ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে পারে, সেই রকম একটি প্ল্যান আমি হাতে নিয়েছি। আমরা সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি; যার মাধ্যমে মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারছে।