• শুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪

ভারতকে খুশী করতে টনপ্রতি ৫৮০ টাকা মাশুল গ্রহণযোগ্য নয়-বিএনপি


প্রকাশিত: ৮:০৮ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ১৫ , শনিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৩৬ বার

ripon-বিশেষ প্রতিবেদক.ঢাকা:  বিএনপির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারতীয় পণ্য পরিবহনের ট্রানজিট মাশুল টনপ্রতি ৫৮০ টাকা তাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আজ শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করে এ মাশুল পুনর্বিবেচনার দাবি জানান তিনি।

বিএনপির মুখপাত্র বলেন, ‘জাতীয় রাজস্ব বোর্ড টনপ্রতি এক হাজার টাকা মাশুল আদায়ের প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় তা অগ্রাহ্য করে ৫৮০ টাকা ধার্য করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের স্বার্থের বিপক্ষে।’
রিপন আরও বলেন, ‘মাশুল কমাতে ভারতের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব বা চাপ ছিল বলে আমাদের জানা নেই। তা ছাড়া ভারত সরকার বাংলাদেশকে ঠকিয়ে লাভবান হতে চায় বলেও মনে করি না। আসলে সরকারের নৈতিক ভিত্তি দুর্বল থাকার কারণে ভারতকে খুশি করার জন্য মাশুল ৫৮০ টাকায় নামিয়ে দিয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে বিএনপি মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমানের একটি বক্তব্য উল্লেখ করে বলেন, তিনি গোড়া থেকেই মাশুল না নেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেন। সরকারের কিছু মন্ত্রী, উপদেষ্টা এবং কর্মকর্তা মাশুল আদায়ের ক্ষেত্রে দর-কষাকষিতে ‘নতজানু’ হচ্ছেন।

রিপন বলেন, ‘ট্রানজিট হচ্ছে এক দেশ থেকে আরেক দেশ হয়ে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য পরিবহন। কিন্তু ভারত তার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সমরাস্ত্রসহ বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করছে, এটা ট্রান্সশিপমেন্ট। এতে ভারত অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে। আমরা এর হিস্যা ও ন্যায়সংগত মাশুল চাই।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি ট্রানজিট ও ট্রানশিপমেন্টের বিরোধী নয়। ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহায়তাকারী বন্ধু দেশ। কিন্তু নিজ দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে কখনো বন্ধুত্ব হয় না।’এ প্রসঙ্গে তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফির ওপর সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘মাত্র ৫০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য যে সরকার মরিয়া হয়ে উঠেছিল।

তারাই কেন দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের কাছ থেকে ট্রানজিটের ন্যায্য মাশুল আদায়ে এতটা আপসকামী হলো, তা জাতি জানতে চায়।’সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে দলের ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আকবর খন্দকার, জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান ও সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ (জনি) উপস্থিত ছিলেন।