• শুক্রবার , ১৭ মে ২০২৪

ভাবী দুলাভাই সাংসদের গৃহপালিত আওয়ামী লীগ নিয়ে তেলেসমাতি


প্রকাশিত: ৩:১৭ এএম, ২৩ জুলাই ১৫ , বৃহস্পতিবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৭৭ বার

মুখোমুখি এই দুই পক্ষের নেতৃত্বে দিচ্ছেন জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামীম আরা হীরা ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমীন। শামীম আরার নেতৃত্বে সংগঠনটির একাংশ গত মঙ্গলবার সম্মেলন করে মেহেরপুর শহর মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করে। ওই কমিটিতে লতিফুন্নেছা লতাকে সভাপতি এবং রোকসানা কামালকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
এর জবাবে গতকাল বুধবার লাভলী ইয়াসমীনের নেতৃত্বে অপর অংশ জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সম্মেলন করে। সেখানে রেহেনা আক্তারকে সভাপতি ও মোনালিসা অ্যানিকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগ এবং সুফিয়া আক্তারকে সভাপতি ও শামসুন্নাহার ঝুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে মেহেরপুর সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়।
জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে সম্মেলনে কমিটি গঠনের খবর পেয়ে জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামীম আরা ঘোষণা দেন, ২৪ জুলাই সম্মেলন করে সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের পাল্টা কমিটি গঠন করা হবে।
শামীম আরার স্বামী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস। আর তাঁর (শামীম আরা) ভাই মেহেরপুর-১ সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন।
গতকালের সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় লাভলী ইয়াসমীন অভিযোগ করেন, দলের জেলা সভাপতি শামীমা আরা তাঁর স্বামী ও সাংসদ ভাইয়ের ক্ষমতাবলে ঘরে বসে কমিটি করে পরিবারতান্ত্রিক দল প্রতিষ্ঠা করছেন।
পৌর মহিলা লীগের সভাপতি রেহেনা আক্তার সভাপতির বক্তব্যে অভিযোগ করে বলেন, ‘পৌর মহিলা লীগের সম্মেলনের জন্য দলের জেলা সভানেত্রীর কাছে একাধিকবার তারিখ চেয়েছি। তিনি তারিখ দেননি। অথচ মঙ্গলবার জেলা সভানেত্রী পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দকে ছাড়াই ঘরে বসে কমিটি গঠন করেছেন।’
সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদের প্রশাসক মিয়াজান আলী অভিযোগ করেন, ঘরে বসে কমিটি গঠন করার জন্য সাংসদ করা হয়নি। সাংসদ তাঁর বোন ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে দল ধ্বংসের কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন।
সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আবদুল মান্নান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বারেকুল ইসলাম, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি তহমিনা খাতুন, কাউন্সিলর ঝুনু খাতুন প্রমুখ।
পাল্টাপাল্টি কাউন্সিল সম্পর্কে শামীম আরা দাবি করেন, ঘরে বসে কমিটি করা হয়নি। আর বুধবার যাঁরা কাউন্সিল করেছেন, তাঁরা বিদ্রোহী নেতা-কর্মী। ওঁদের কাউন্সিল সম্পূর্ণ অবৈধ। শামীম আরার দাবি, মঙ্গলবার তাঁর নেতৃত্বে নিজ বাড়িতে পৌর মহিলা লীগের যে কাউন্সিলে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়েছে, সেটি বৈধ। তাঁর অভিযোগ, সাংসদ দলে সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দেননি। তাই দলের একাংশ দলবিরোধী নানা ষড়যন্ত্রে মেতেছে।