• বৃহস্পতিবার , ২ মে ২০২৪

বেসিক ব্যাংকের ৩০০০ কোটি লুটপাট মামলায় দুদক নাটক কান্ডে ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট


প্রকাশিত: ২:২৪ পিএম, ৩০ নভেম্বর ২২ , বুধবার

নিউজটি পড়া হয়েছে ৪২ বার

কোর্ট রিপোর্টার : বেসিক ব্যাংকের ৩০০০ কোটি লুটপাট মামলায় দুদক নাটক কান্ডে চরম ক্ষুদ্ধ হাইকোর্ট। এবার হাইকোর্ট বলেছেন, ‘সব ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে, কিছু লোক টাকা নিয়ে যাচ্ছে। কোটি কোটি লোক চেয়ে চেয়ে দেখবে? আমরা কি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখব? এটা কি হয়? অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন যা করছে তাতে মনে হয়, আমরা নাটক দেখছি। হাততালি ছাড়া আর কী আছে, না হয় বসে থাকতে হবে। কাজ হচ্ছে না কেন? বেসিক ব্যাংকের অর্থপাচার মামলার আসামি মোহাম্মদ আলীর জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানির সময় আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ এসব মন্তব্য করেন।

আদালতে মোহাম্মদ আলীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এস এম আবুল হোসেন। তিনি শুনানিতে বলেন, ‘দুদক তো নাট্যশালা। এতদিন হয়ে গেল এখনো চার্জশিট দেওয়া হয়নি। আমি নির্দোষ। আমি ব্যাংকের ম্যানেজার ছিলাম। কেরানি মাত্র। আমি তো আবেদন হেড অফিসে পাঠিয়ে দেই।’ আদালত বলেন, ‘কেরানি কেন? আপনি তো ম্যানেজার। আপনার দেখার দায়িত্ব, দেখে সন্তুষ্ট হয়েই ফরওয়ার্ডিং দিয়েছেন।’

আবুল হোসেন বলেন, ‘দুদক ৭ বছরেও বলতে পারেনি টাকা কোথায় গেছে। ৫৬ মামলায় ১২০ জন আসামি। ১৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন, আর আমি নিজে আত্মসমর্পণ করেছি। ২০১৯ সালের ৯ জুন থেকে কারাগারে। এখানে আমার অপরাধ কী দুদক সেটিও সুনির্দিষ্ট করতে পারেনি। মামলায় টাকা ও সম্পদের যে বিবরণ এসেছে তা আমার নিয়ন্ত্রণে ছিল না। এখানে বিশ্বাস ভঙ্গেরও কিছু ছিল না।’ 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, ‘মোহাম্মদ আলী শান্তিনগর শাখার ম্যানেজার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে।’ আর দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য সময় প্রার্থনা করেন। পরে আদালত মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন। এর আগে সোমবার বেসিক ব্যাংকের ২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় আলামত চেয়ে মালয়েশিয়ায় অনুরোধ পাঠানোর তথ্য হাইকোর্টকে জানায় দুর্নীতি দমন কমিশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তির (এমএলএআর) আওতায় মালয়েশিয়াকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত দীর্ঘায়িত হওয়ার বিষয়ে বলা হয়, আত্মসাৎ করা অর্থ সম্পূর্ণরূপে নগদে উত্তোলনের মাধ্যমে টাকার অবস্থান গোপন করা হয়েছে। মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীদের শনাক্ত করা ও তাদের জবানবন্দি গ্রহণ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। সব সাক্ষীর কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।