• সোমবার , ২৯ এপ্রিল ২০২৪

বাঘিনী রুমানা-সানজিদা-আয়েশাদের থাবায় এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ৪:২১ পিএম, ১০ জুন ১৮ , রোববার

নিউজটি পড়া হয়েছে ১৫৪ বার

স্পোর্টস রিপোর্টার :  এবার বাঘিনী রুমানা-সানজিদা-আয়েশাদের থাবায় এশিয়ার সেরা বাংলাদেশ। যেকোনো পর্যায়ের Tigress-www.jatirkhantha.com.bdবহুজাতিক টুর্নামেন্টে সেরা হওয়ার পথে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন শক্তিশালী ভারতকে ৩ উইকেটে হারিয়ে দেশের জন্য এই ঐতিহাসিক গৌরব বয়ে এনেছে নারী ক্রিকেট দল।ভারত এদিন টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১২ রান সংগ্রহ করে। বাংলাদেশ সেটি টপকে যায় শেষ বলে ২ রান নিয়ে।

শেষ ১৮ বলে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৩ রান। উইকেটে ফাহিমা খাতুন এবং রুমানা আহমেদ। ফাহিমা ৭ বলে ৯ করে স্টাম্পড হয়ে ফেরেন। দল তখন জয় থেকে ১৫ বলে ১৭ রান দূরে।নতুন ব্যাটসম্যান সানজিদাকে নিয়ে রুমানা সিঙ্গেল নিয়ে নিয়ে খেলতে থাকেন। শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ১২ রান।১৯তম ওভার করতে আসেন দীপ্তি শর্মা। তিনি মাত্র ৩ রান দিয়ে যান। ৬ বলে দরকার পড়ে ৯ রান।
Tigress-www.jatirkhantha.com.bd.11
বল হাতে তুলে নেন ভারতীয় দলপতি হারমানপ্রীত। সানজিদা সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন সেট ব্যাটসম্যান রুমানাকে। চোখ জুড়ানো কাভার ড্রাইভে চার হাঁকান তিনি। পরের বলে সিঙ্গেল। তিন বলে দরকার তিন। সানজিদা (৫) হাফভলি বানিয়ে বড় শট খেলতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন। দুই বলে দরকার তিন। নতুন ব্যাটসম্যান আসেন জাহানারা আলম। স্ট্রাইকে রুমানা। পঞ্চম বলে এক রান নেয়ার পর রানআউট হন রুমানা (২৩)! শেষ বলে এক হলে ড্র, দুই হলে জয়! স্ট্রাইকে জাহানারা। দুই নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন তিনি।

এর আগে ৩৫ রানের দারুণ শুরুর পর সপ্তম ওভারে জোড়া পতনে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। পুনম যাদবের করা ওভারের পঞ্চম বলে সুইপ করতে গিয়ে শর্টস্কয়ার লেগে ঝুলন গোস্বামীর হাতে ধরা পড়েন ওপেনার আয়েশা রহমান। ২৩ বলে ১৭ করে যান তিনি। পরের বলে শামিমা সুলতানা অহেতুক এক শট খেলতে গিয়ে মিডঅফে ধরা পড়েন। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বলে ড্রাইভ করতে যান তিনি। ছেড়ে দিলে ওয়াইড হতো। শামিমা ১৯ বলে করেন ১৬।

এরপর ফারজানা হক (১১) এবং নিগার সুলতানা ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। ১৬তম ওভারে ফুলটস বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন নিগার সুলতানা। তখন ২৮ বলে দরকার ছিল ৩০ রান।নিগার সুলতানা এই বলটিকে উচ্চতায় ‘নো’ ভেবে বড় শট খেলেন। কাউকর্নারে দীপ্তির হাতে ধরা পড়ার পর ‘নো’র আবেদন করেন। মাঠের দুই আম্পায়ার থার্ডআম্পায়ারের কাছে গেলে তিনি আউট ঘোষণা করেন। নিগার সাজঘরে ফিরলেও বাকি কাজটুকু ঠিকই সেরে ফেলেন জাহানারা (২*) এবং সালমা খাতুন (০*)।